শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু হতে আর এক মাসের বেশি বাকি। এমন সময় জমজমাট থাকে কলকাতার নিউমার্কেট এলাকা। অথচ গত এক মাস ধরে নারী চিকিৎসক হত্যার প্রতিবাদে চলমান আন্দোলনের জেরে কমে স্থানীয়দের আসা-যাওয়া। ভাটা পড়ে উৎসবের বেচা-কেনায়।
এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশি পর্যটকদের আনাগোনায় আবারও পুরনো জৌলুস ফিরে পাচ্ছে কলকাতার মারকুইস স্ট্রিট। সরগরম হয়ে উঠছে নিউমার্কেট এলাকাও। কাস্টমসের সূত্র বলছে, এক সপ্তাহ আগে ভারতের পেট্রাপোল-বেনাপোল বন্দর দিয়ে দিনে গড়ে এক হাজার যাত্রী পারাপার করলেও এখন সেই সংখ্যাটি প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।
গত কয়েকদিন ধরে, স্থানীয় হোটেল, রেস্তোরাঁ ও শপিংমলে বাংলাদেশি পর্যটকদের ভিড় উল্লেখযোগ্য হারে বাড়তে থাকায় স্বস্তিতে ব্যবসায়ীরাও।
স্থানীয় একজন হোটেল ব্যবসায়ী বলেন, 'ভারতীয় হাই কমিশন থেকে কিছু ভিসা নতুন করে দেয়া শুরু করেছে। সে কারণেই মানুষ আস্তে আস্তে বাড়ছে। আমাদের ব্যবসায়ী মন্দাভাবটা ধীরে ধীরে কাটিয়ে উঠতে পারছি।'
গেল জুলাই মাসে বাংলাদেশে গণআন্দোলন চলার সময় ভিসানীতি কঠোর করে ভারত। এখন পুরোপুরি শিথিল করা হলে পর্যটকদের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে মনে করে পুজার কেনাকাটা করতে নিউমার্কেটে আসা বাংলাদেশিরা।
একজন পর্যটক বলেন, 'এখন ভিসাটা একটু সহজীকরণ হবে। দুই দেশের সরকার যদি ভিসা সহজীকরণে সহযোগিতা করে তাহলে অনেক ট্যুরিস্ট আসবে।'
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা উপলক্ষে আবাসিক হোটেলে থাকা-খাওয়ার খরচ ও পূজার কেনাকাটায় ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দিচ্ছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। পণ্যের দাম নাগালের মধ্যে থাকায় উচ্ছ্বসিত বাংলাদেশি পর্যটকরা।
পূজোর আগে মালামাল কিনতে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে অনেকে ব্যবসায়ীও আসেন কলকাতায়। গত দুই মাসে দুইদেশের আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্য অনেকটাই ক্ষতি হয়েছে বলে মনে করেন তারা।
একজন বাংলাদেশি ব্যবসায়ী বলেন, 'আমদানি-রপ্তানির বিষয়টা আরও প্রসারিত করতে হবে। আমাদের এই ভুল বোঝাবুঝির বিষয়টার অবসান হওয়া জরুরি বলে মনে করি।'
ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, শেষ মুহূর্তে আবারও জমে উঠবে পূজার কেনাকাটা-এমনটাই প্রত্যাশা করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।