
জেলেনস্কির ওপর চটেছেন ট্রাম্প!
কিয়েভকে বাদ দিয়ে ইউক্রেন ইস্যুতে শান্তি আলোচনার বিরোধিতা করায় প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির ওপর চটেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া আলোচনার প্রথম ধাপের পর, যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হওয়ার জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকেই দোষারোপ করেন তিনি। জানান, চলতি মাসেই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সম্ভাব্য বৈঠকের কথাও।

কিয়েভের ন্যাটোতে যোগদান মেনে নেবে না মস্কো
ইউক্রেন সংঘাত নিরসনে উচ্চপর্যায়ের দল গঠন, রাষ্ট্রদূত নিয়োগ ও পূর্ণ সহযোগিতার বিষয়ে সম্মত হয় যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া। সৌদি আরবের রিয়াদে অনুষ্ঠিত চার ঘণ্টার বৈঠকে প্রতিনিধিত্ব করেন দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এসময় কিয়েভের ন্যাটোতে যোগদান মেনে নেয়া হবে না বলে জানায় মস্কো। অন্যদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, আলোচনার এক পর্যায়ে ইইউকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

কিয়েভকে বাদ দিয়ে চুক্তি নয়, প্যারিসে ইউরোপীয় নেতাদের জরুরি বৈঠক
কিয়েভকে বাদ দিয়ে ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের চুক্তি মানবেন না দেশটির প্রেসিডেন্ট। ইউক্রেনসহ পুরো ইউরোপকে বাদ দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার আলোচনায় বিস্মিত ইউরোপীয় নেতারা সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) এ নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন প্যারিসে। কার্যকর কোনো পদক্ষেপ না এলেও ইউক্রেনে যুক্তরাজ্যের সেনা মোতায়েনের প্রস্তাবে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে অন্যান্য দেশ। বিশ্লেষকরা বলছেন, ঐক্যের বার্তা দেয়াই ছিল প্যারিস বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য।

ইউক্রেনকে বাদ দিয়েই যুদ্ধ বন্ধে রুশ প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসছে যুক্তরাষ্ট্র
ইউক্রেনকে বাদ দিয়েই যুদ্ধ বন্ধে রুশ প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসছে যুক্তরাষ্ট্র। আজ (সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি) সৌদি আরবের রিয়াদে এ বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এর প্রতিক্রিয়ায় ফ্রান্সের প্যারিসে জরুরি বৈঠক করবেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা। তবে মার্কিন নিরাপত্তা বলয়ে থেকে ইউক্রেনকে কতটুকুই বা সমর্থন করতে পারবেন তারা। তাই বলা হচ্ছে দিনশেষে পাঠার বলি হতে যাচ্ছে ইউক্রেন। এমনটাই ধারণা বিশ্লেষকদের।

ট্রাম্প-পুতিনের শান্তিচুক্তির শঙ্কায় ফ্রান্সে জরুরি বৈঠক ইউরোপের নেতাদের
ইউরোপকে বাদ দিয়েই রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেন শান্তি আলোচনায় বসার ঘোষণা দিয়ে আরেক দফা মিত্রদের চমকে দিল যুক্তরাষ্ট্র। ইউরোপের নিরাপত্তায় হুমকি হয়ে দাঁড়ায়, ট্রাম্প-পুতিনের এমন শান্তিচুক্তির শঙ্কায় ফ্রান্সে জরুরি বৈঠক করবেন অঞ্চলটির নেতারা। যুক্তরাষ্ট্রের মিশ্র বার্তার ফলে বিশ্ব রাজনীতিতে অপ্রত্যাশিত পরিবর্তন দেখছেন বিশ্লেষকরা।

'বাকস্বাধীনতার প্রশ্নে চীন-রাশিয়ার চেয়ে ইউরোপের পরিস্থিতি বেশি খারাপ'
বাকস্বাধীনতার প্রশ্নে চীন-রাশিয়ার চেয়ে ইউরোপের পরিস্থিতি বেশি খারাপ বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স। আর এমন মন্তব্যে হতবাক হয়েছেন ইউরোপীয় নেতারা। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এড়িয়ে পুরো ভাষণে দীর্ঘদিনের ইউরোপীয় মিত্রদের আক্রমণ অব্যাহত রাখেন জেডি ভ্যান্স। ট্রাম্প-পুতিনের ৯০ মিনিটের ফোনালাপের খবর, ন্যাটোতে কিয়েভের যোগ দেয়ার সম্ভাবনা ট্রাম্প প্রশাসনের খারিজ করে দেয়া ইত্যাদি সত্ত্বেও সম্মেলনে ইতিবাচক থাকার জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।

ইউক্রেনেই ন্যাটো বানানোর হুঁশিয়ারি জেলেনস্কির
ইউক্রেনেই ন্যাটো বানানোর হুঁশিয়ারি দিলেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। জার্মানিতে অনুষ্ঠিত তিন দিনব্যাপী মিউনিখ সিকিউরিটি সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। সেসময় মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের সঙ্গে সাইড টেবিল বৈঠক করেন জেলেনস্কি।

ইউক্রেন ইস্যুতে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে যাচ্ছে ন্যাটো
রাশিয়ার সেনা অভিযান শুরুর পর থেকে ইউক্রেনে সম্মিলিতভাবে পশ্চিমা বিশ্ব সামরিক সহায়তা দিয়ে গেলেও যুদ্ধবিরতির আলোচনা হয়েছে ইউরোপকে ছাড়াই। পেন্টাগন প্রধান সতর্ক করে বলেছেন, ইউক্রেনকে সহায়তা দেয়ার দায়ভার যুক্তরাষ্ট্রের একার নয়। বিপরীতমুখী অবস্থান নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলছে, ইউক্রেনে শান্তি ইউরোপের অংশগ্রহণ ছাড়া সম্ভব নয়। বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউক্রেন ইস্যুতে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে যাচ্ছে ন্যাটো।

শান্তি আলোচনায় আসতে রাশিয়া-ইউক্রেনের সম্মতি
যুদ্ধ বন্ধ করে শান্তি আলোচনায় আসতে সম্মত হয়েছে রাশিয়া ও ইউক্রেন। দুই দেশের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দীর্ঘ ফোনালাপে উঠে আসে যুদ্ধবিরতির বিষয়।

অস্ত্র সহায়তার বিনিময়ে ইউক্রেনের কাছে ৫০ হাজার কোটি ডলারের দাবি ট্রাম্পের
গেলো তিন বছরের পাশাপাশি ভবিষ্যতের অস্ত্র সহায়তার বিনিময়ে ইউক্রেনের কাছে ৫০ হাজার কোটি ডলারের রেয়ার আর্থ মিনারেল দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও অর্থ সহায়তা নিয়ে বিপরীতমুখী মন্তব্য করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও জেলেনস্কি। সামরিক সহায়তা নিয়ে চাঞ্চল্যকর এই পরিস্থিতির মধ্যেই ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের শত্রুর কাছে অস্ত্র বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।

ট্রাম্প প্রশাসনের ধোঁয়াশায় ইউক্রেন যুদ্ধ, রাশিয়াকে সহায়তায় অটল উত্তর কোরিয়া
ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসের দায়িত্ব নেয়ার পর আরো অনিশ্চয়তায় পড়ে গেছে ইউক্রেনে যুদ্ধ পরিস্থিতি। ইউক্রেন কিংবা রাশিয়া, কোন পক্ষই নিশ্চিত হতে পারছে না, ডোনাল্ড ট্রাম্প কাজ করবে কার স্বার্থে। এদিকে রাশিয়াকে অনবরত সহযোগিতা করে যাচ্ছে উত্তর কোরিয়া। সহায়তা কমছে ভলোদিমির জেলেনস্কির। সামরিক বিশ্লেষকরা বলছেন, রাশিয়ার জ্বালানি খাতে যেকোনো সময় নিষেধাজ্ঞা দিয়ে বসতে পারেন ট্রাম্প।

খনিজ সম্পদ রক্ষায় রাশিয়ার বিরুদ্ধে কূটনৈতিক চুক্তির পথে কিয়েভ
খনিজ সম্পদ বেহাত হয়ে রাশিয়ার দখলে চলে যাওয়ার আশঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভর করছে ইউক্রেন। দেশটির রেয়ার আর্থে ট্রাম্প প্রশাসনের আগ্রহে ইতিবাচক ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। যদিও নিজেদের রেয়ার আর্থের মজুত বিলিয়ে দিতে রাজি নন তিনি, চান দুই পক্ষের জন্য লাভজনক চুক্তি। বিশ্লেষকরা বলছেন, চীনের নিয়ন্ত্রণে থাকা ইউক্রেনের রেয়ার আর্থের বাজারে মার্কিনিদের প্রবেশ বাস্তবতা বিবর্জিত।