চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে এশিয়া কাপে যাত্রা। কিন্তু গ্রুপ পর্বের মাঝপথেই টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়ার শঙ্কায় বাংলাদেশ। স্বপ্ন আর বাস্তবতার বিস্তর ফারাকের যাঁতাকলে নানা সমীকরণের জটিল মারপ্যাঁচের সামনে লিটন দাসরা। যেখানে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বড় জয় পেলেও সুপার ফোরে ওঠার নিশ্চয়তা পাবে না টাইগাররা। রাশিদ খানদের হারানোর পাশাপাশি তাকিয়ে থাকতে হবে শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান ম্যাচের দিকেও।
ম্যাচ জয়ের বিকল্প নেই, বাংলাদেশের সামনে যখন এমন বাঁচা মরার সমীকরণ তখন পরিসংখ্যানও কথা বলছে না লিটনদের পক্ষে। মুখোমুখি হওয়া ১২ ম্যাচের ৭ টিতেই বাংলাদেশকে হারিয়েছে আফগানরা। বিপরীতে তাসকিনদের জয় ৫টিতে। যার সবগুলোই আবার দেশের মাটিতে। দেশের বাইরে খেলা দুই ম্যাচেই জয় তুলে নিয়েছে রাশিদ খান-মোহাম্মদ নবীরা। সবশেষ পাঁচ ম্যাচের পরিসংখ্যানেও এগিয়ে আফগানিস্তান।
আরও পড়ুন:
এশিয়া কাপে ব্যাট-বলের পারফরম্যান্সেও এগিয়ে রাশিদ খানের দল। সেদিকুল্লাহ আতালরা লম্বা ইনিংস খেলে ম্যাচে জেতাচ্ছেন দলকে। আর তামিম-ইমনরা ব্যর্থতার গল্প লিখে নিয়মিত দলকে বিপদে ফেলে ফিরছেন ড্রেসিংরুমে। টাইগাররা যেখানে জেনুইন অলরাউন্ডার খুঁজতে ব্যস্ত সেখানে আজমতউল্লাহ ওমরজাইরা ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত ভূমিকা রাখছেন দলের জয়ে। বিপর্যস্ত বাংলাদেশকে তাই কঠিন পরীক্ষাই দিতে হবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে।
২০১৬ সালে এশিয়া কাপের টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ফাইনাল খেলেছিল বাংলাদেশ। তবে ২০২২ সালে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেয়ার পর চলতি আসরেও একই ফলাফলের পুনরাবৃত্তির দ্বারপ্রান্তে লিটনরা।





