প্রতিপক্ষ যখন আফগানিস্তান, বাংলাদেশের সামনে তখন অজানা এক আতঙ্ক। ক্রিকেট দুনিয়ায় আফগানিস্তানের উত্থান নিঃসন্দেহে বিস্ময়কর এবং চমক জাগানো।
তবে ক্রিকেটীয় ঐতিহ্য আর অবকাঠামোগত উন্নয়নে বাংলাদেশ ঢের এগিয়ে। তবু আফগানিস্তানের বিপক্ষে টাইগারদের সাম্প্রতিক চিত্রটাও সুবিধাজনক না। দুই দলের সবশেষ সিরিজটাও নিজেদের করে নিয়েছিল রশিদ খান-মোহাম্মদ নবীর দল।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে সবচেয়ে বড় লড়াইটা অবশ্য করতে হয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটারদের। লেগ স্পিনে বরাবরই পিছিয়ে বাংলাদেশ, আফগানদের জন্য সেটাই বড় অস্ত্র।
বিগত কয়েক বছরে ক্রিকেট বিশ্বে রশিদ খান কিংবা মুজিব উর রহমানদের মতো বোলার উপহার দিয়েছে আফগানিস্তান। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাতে যোগ দিয়েছেন নানগালিয়ে খারোটে কিংবা আল্লাহ গাজানফারের মতো রহস্য স্পিনাররা।
আরও পড়ুন:
বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে আফগান বোলারদের পরিসংখ্যান রীতিমত সমীহ জাগানিয়া। রশিদ খান এখন পর্যন্ত লিটনদের বিপক্ষে ১১ ম্যাচে নিয়েছেন ২২ উইকেট। উইকেটপ্রতি খরচ ১০ দশমিক ৫৪ রান।
মুজিব উর রহমান পেয়েছেন ১৩ উইকেট। গড় ১৪ এর কিছুটা বেশি। অবশ্য পেসাররাও পিছিয়ে নেই। আজমতউল্লাহ ওমরজাই, নাভিন উল হক কিংবা ফজল হক ফারুকির বিপক্ষে রান তুলতে রীতিমত সংগ্রাম-ই করতে হয়েছে টাইগারদের ব্যাটিং ইউনিটকে।
শ্রীলংকার বিপক্ষে ম্যাচে পেসারদের বিপক্ষে হিমশিম খেয়েছিল ফিল সিমন্সের শিষ্যরা। থুসারা-চামিরাদের ৩৬ বল থেকে রানের দেখা মেলেনি, দলকেও হারতে হয়েছিল বড় ব্যবধানে।
আফগানিস্তানের শক্তিশালী বোলিং লাইনআপের বিরুদ্ধে ২২ গজের পিচে বাংলাদেশকে তাই আরও একবার বড় পরীক্ষা দিতে হবে, সেটা অনেকটাই নিশ্চিত।




