ক্রিকেটের এল ক্লাসিকোতে জৌলুস ফেরানোর ম্যাচে আরও জৌলুসহীন পাকিস্তান। একক ডমিনেন্স টিম ইন্ডিয়ার। আর এতেই কুপোকাত সালমান আঘার দল। ফলাফল বড় ব্যবধানে হার। যেখানে উত্তাপ উত্তেজনার লেশমাত্র খুঁজে পাওয়া গেলনা।
ভারত-পাকিস্তান মহারণে ব্যাটিংয়ের শুরুতেই সমাপ্তি ঘটে সাইম আয়ুবের ইনিংসের। ওভারে প্রথম বলেই হার্দিক পান্ডিয়ার বলে পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। গোল্ডেন ডাক করে সাইম ফেরার পর বাইশ গজের লড়াইয়ে নামেন মোহাম্মদ হারিস। দলের চিন্তা বাড়িয়ে বুমরাকে উইকেট দিয়ে ড্রেসিংরুমের পথ ধরেন তিনি।
আরও পড়ুন:
সাহেবজাদা ফারহান-ফখর জামান চেষ্টা করেন ইনিংস মেরামতের। তবে দারুণ খেলতে থাকলেও ফখর জামানের আউটে জুটি থামে ৩৯ রানেই। অধিনায়ক সালমান আঘাও ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলে বিপর্যয়ে পড়ে পাকিস্তান। কুলদীপ ইয়াদাভ-আক্সার প্যাটেলদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে দিশেহারা হাসান-নওয়াজরা হেঁটেছেন অধিনায়কের দেখানো পথেই। লোয়ার অর্ডারে শাহিন আফ্রিদির ৩৩ রান ভারতের লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়েছে কেবল চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেনি চিরপ্রতিদ্বন্দীদের।
টার্গেটে ভালো খেলে ভারত। সাম্প্রতিক সময়ে এ ধারণাটা ক্রিকেট বিশ্বে মিথ হয়ে উঠেছে। ব্যতিক্রম ছিলনা ভারত-পাকিস্তানের এবারের মহারণেও। এমনিতেই পাকিস্তানের স্কোরবোর্ড করুণ, তার উপর অভিষেক শর্মার ১৩ বলে ৩৯ রানের ঝড়ো ইনিংসে শুরুতেই যেনো ম্যাচের ভাগ্য লেখা শেষ।
ম্যাচের বাকি সময়টায় টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাটিং করেছেন সুরিয়াকুমার-তিলক ভার্মারা। পাকিস্তানের বোলারদের পাড়ার বোলার বানিয়ে হেসে খেলেই জয়ের বন্দরে নোঙর করে ভারত। যেখানে সুরিয়াকুমার ইয়াদাভের ম্যাচ উইনিং ছক্কাকে বলা যেতে পারে পাকিস্তানের ওপর ভারতের আধিপত্যের ট্রেডমার্ক।




