ক্যারিয়ারে কঠিন সময় পার করছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে শেষ ১৮ ম্যাচে নাই ফিফটির দেখা, টেস্টে শেষ ১৭ ইনিংসে পঞ্চাশোর্ধ ইনিংস আছে মোটে একটা। সময়টা এতোটাই প্রতিকূলে যে সবশেষ বিপিএলে বরিশালের একাদশেও জায়গা পাননি দেশের তিন ফরম্যাটের অধিনায়ক।
যদিও ওয়ানডে ফরম্যাটে ব্যাটে রানটা আসছে ঠিক ঠাক। শেষ ১২ ম্যাচে আছে চার ফিফটি আর তিনটি চল্লিশোর্ধ ইনিংস। তারপরও শান্তকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলা কার্যকলাপে বিরক্ত সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন।
গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ওকে নিয়ে যেভাবে ট্রল করা হয়, আমি মনে করি সেটা ঠিক নয়। তার মত পরিশ্রমি ক্রিকেটার খুব কমই আছে। সে ক্রিকেট ছাড়া কিচ্ছু বোঝেনা।’
তবে শান্তকে তিন ফরম্যাটে অধিনায়কত্ত্ব না দিয়ে যেকোনো দুই ফরম্যাটের দেয়া যেতে পারে দায়িত্ব, মনে করেন টাইগারদের সাবেক এই টিম ম্যানেজার।
খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, ‘শান্ত একা খারাপ করছে ব্যাপারটা সেরকম নয়। বোলার বা অন্যান্য ব্যাটাররাও মাঝেমধ্যে পারফর্ম করে না। আমরা সবকিছুতে একটু বেশিই তাড়াহুড়ো করি। তাকে চাপমুক্ত করতে যেকোনো এক ফরমেটের অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া যেতে পারে। তবে এখনও সে ওয়ানডে ফরমেটে বাংলাদেশের সেরা খেলোয়াড়দের একজন।
এদিকে, দলীয় সাফল্য পেতে শান্তকে সময় দেয়ার আহবান জানিয়েছেন খালেদ মাহমুদ।
সুজন বলেন, ‘আমরা একটা পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। একটা দলের সিনিয়র খেলোয়াড়রা চলে গেলে তাদের কিছুটা খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। অন্য দেশের খেলোয়াড়দের তো এভাবে ট্রল করা হয় না।’