বিপিএলের ১১তম আসরের ফাইনাল। নানারকম সমালোচনায় মোড়ানো এবারের ফাইনালিস্ট দুই দলের অধিনায়কের ট্রফি শুট আয়োজন নিয়েও দ্বিধায় যেনো দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। অবশেষে বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় আসে ঘোষণা, টিম হোটেলেই হচ্ছে এ আয়োজন।
মাঝে সুদৃশ্য ট্রফি। দুই পাশে ফাইনালিস্ট দুই দলের ক্যাপ্টেন। এককভাবে ট্রফিটার ভাগীদার হওয়ার লড়াইয়ে নামছে দু'দল।
আগের দিন কোয়ালিফায়ার দুইয়ে খুলনাকে হারানো চিটাগং কিংস নেই মাঠের অনুশীলনে। তবে নিজেদের প্রস্তুতি নিতে ব্যস্ত টিম বরিশাল। ফাইনালের আগে শেষ অনুশীলনে ঘাম ঝরিয়েছেন সবাই।
এবারের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে সবচেয়ে অভিজ্ঞ আর ব্যয়বহুল দল ফরচুন বরিশাল। সাথে রয়েছে জেতার ধারাবাহিকতাও। এগুলোকেই শিরোপা জেতার মূল অস্ত্র মনে করেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
তিনি বলেন ,‘আমরা জানি যে আমাদের কী করতে হবে। এটাই দেখার বিষয় যে এটা কত ভালোভাবে আমরা এক্সিকিউট করি। যে জিনিসটা আমরা ১৩ থেকে ১৪টা ম্যাচে করেছি যেভাবে আমরা বিহ্যাভ করেছি আশা করি তার পরিবর্তন করতে হবে না। অন্য ম্যাচের মতোই ফাইনাল খেলতে চাই।’
অন্যদিকে বরিশালকে হারানো এতটা সহজ হবে না ২০১৩ সালের পর প্রথমবার ফাইনালে উঠা দল চিটাগং কিংসের জন্য। সেই চ্যালেঞ্জটাই উপভোগ করতে চান দলটির দুই কোচ।
চিটাগং কিংসের সহকারী কোচ এনামুল হক জুনিয়র বলেন, ‘তিনটা লোকাল খেলোয়াড় সেমিফাইনালে রান করে গেছে। তাহলে আমি আশা করতেই পারি, তারা যদি ভালো খেলতে পারে তাহলে আমরা যে কাউকেই হারাতে পারি। আমি বিশ্বাস করি লোকালরা ভালো খেললে বাকিরা সাপোর্ট দিবে। আমি লোকালদের উপরে বেশি আশা করছি।’
চিটাগং কিংসের কোচ শন টেইট বলেন, ‘চ্যালেঞ্জিং ম্যাচ। টুর্নামেন্টের দুই সেরা দল। অবশ্যই চ্যালেঞ্জ থাকবে। পুরো টুর্নামেন্টই আমাদের বোলাররা ভালো বল করছে। আমরা প্রতিপক্ষকে নিয়ে খুব একটা ভাবছি না। আমরা চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত।’