ঘটনাবহুল, বিতর্কিত কিংবা প্রতারণা- বিপিএলের ১১ তম আসরকে যে বিশেষ নেই বিশেষায়িত করা হোক না কেন, এবারের আসরে দর্শকদের মাঝে উন্মাদনা ছিল অন্য যেকোনোবারের চেয়ে বেশি। টিকিট না পেয়ে বিসিবির গেট ভেঙ্গে স্টেডিয়ামের ঢোকার দৃশ্যের দেখাও মিলেছে এবারের আয়োজনে।
৩০ ডিসেম্বর শুরু হওয়া বিপিএলে শুক্রবার মাঠে গড়াবে ফরচুন বরিশাল আর চিটাগং কিংসের মেগা ফাইনাল। মহামঞ্চের সাক্ষী হতে একদিন আগেই টিকিট পেতে শুরু হয়েছে ক্রিকেটপ্রেমীদের লড়াই।
বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকেই বুথগুলোতে জড়ো হতে শুরু করে টিকিট প্রত্যাশীরা। তবে অনেকের অভিযোগ প্রথম প্রহরে এসেও টিকিট কালোবাজারিতে মুহূর্তেই শেষ হয়ে যায় ৪০০ এবং ৬০০ টাকার টিকিট।
একজন ক্ষুদে দর্শক বলেন, 'কিছুক্ষণ আগে আমরা দেখলাম অনেক লোক লাইনের মাঝখানে ঢকে যাচ্ছে। পুলিশ, সেনাবাহিনী, আনসার কেউ কিছু বলছে না। কিছুক্ষণ আগে দেখলাম একজন ৬০০ টাকার টিকিট নিবে তার কাছে এক হাজার টাকা চাইছে বাইরে। এগুলো কী ভাই? এতগুলো টিকিট এক মিনিটে কীভাবে শেষ করতে পারে।'
এদিকে, এবারের আসরে বিসিবি'র নতুন উদ্যোগ ছিল, অনলাইন টিকিটিং। তবে দর্শকদের অভিযোগ, টিকিট ছাড়ার মিনিট দুইয়েকের মাঝেই হাওয়া হয়ে যায় নিম্নমূল্যের টিকিটগুলো।
একজন দর্শক বলেন, '৪০০ আর ৬০০ টাকার টিকিট একটাও নেই। এক হাজার টাকার টিকিট আছে আর দুই, তিন হাজার টাকারটা আছে। আবার রিফ্রেশ দিয়ে দেখি কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে এক হাজার টাকারটাও সোল্ড আউট। তাহলে এত বেশি টিকিট কোথায় গেলো?'
ক্রিকেট যেন বাংলার মানুষের কাছে এক আবেগের নাম। তাই প্রতিবারের মতো এবারও ক্রিকেটপ্রেমীদের প্রত্যাশা, কালোবাজারির হাত থেকে মুক্ত হবে টিকিট কেনা-বেচা।