ক্রিকেট
এখন মাঠে
0

ভবিষ্যতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আসরে বাংলা ধারাভাষ্যের ব্যবস্থা থাকবে : বিসিবি

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) এবার পুরো আসর জুড়ে বাংলা ধারাভাষ্য শুনতে পারছেন সমর্থকরা। এর সঙ্গে যুক্ত আছেন সাবেক অধিনায়করাও। ভবিষ্যতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আসরগুলোতেও বাংলা ধারাভাষ্যের ব্যবস্থা থাকবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

বিপিএলে বাংলা ধারাভাষ্য। দেশের একমাত্র ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে এর আগেও একবার টিভিতে বাংলা ধারাভাষ্য হয়েছিল তবে সেটা মাত্র একদিনের জন্য। কিন্তু চলমান আসরে পুরো বিপিএলজুড়েই দর্শকরা শুনতে পারছেন বাংলা ধারাভাষ্য। যাতে নতুন সংযোজন সরাসরি বাংলা ধারাভাষ্যের ইউটিউব পডকাস্ট। বিসিবি ও টি-স্পোর্টসের যৌথ উদ্যোগে শুরুর গল্পটা কেমন ছিল?

টি-স্পোর্টসের ক্রীড়া সম্পাদক মানজুর মোর্শেদ বলেন, ‘বাংলা কমেন্ট্রি তো সবসময়ই হয়েছে। কিন্তু ক্রিকেটের ভিজুয়াল কমেন্ট্রি যেটা, সেটা সেই অর্থে হয়নি। এবার কিন্তু পডকাস্টও হচ্ছে। অর্থাৎ কমেন্টেটররা কী করেন কীভাবে কমেন্ট্রি দেন সেটাও কিন্তু মানুষ দেখতে পাচ্ছে।’

বাংলা ধারাভাষ্যের এই প্যানেলে যুক্ত আছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক ক্যাপ্টেন হাবিবুল বাশার সুমন। বিসিবির গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা দুই মাঠে ক্রীড়াবিদের ধারাভাষ্য কক্ষের অভিজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন স্বতঃস্ফূর্তভাবে। অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন সাবেক তারকা ক্রিকেটার মোহাম্মদ আশরাফুলও।

হাবিবুল বাশার সুমন বলেন, ‘কমেন্ট্রি থেকে আমাদের খেলা নিয়ে সমালোচনা করছে না কি আমাদের খেলার প্রশংসা করছে এটা কিন্তু আমাদের অনেক ক্রিকেটারের মধ্যে কাজ করতো। আমরা কিন্তু সেটার দিকে তাকিয়ে থাকতাম। যে কমেন্টেটররা আমাদের খেলা নিয়ে কী বলছে।’

মোহাম্মদ আশরাফুল বলেন, ‘যখন আমরা আইসিসি ট্রফি খেলতে গিয়েছিলাম মালয়েশিয়াতে। রেডিওতে কিন্তু কমেন্ট্রি শুনছিলাম। অন্যরকম একটা ফিলিংস আছে।’

রেডিও ধারাভাষ্য থেকে কিছুটা ভিন্ন আঙ্গিকে এবার সম্প্রচারিত হচ্ছে বাংলা ধারাভাষ্য। কেন এই সংযুক্তি আর পার্থক্যটা কোথায় জেনে নেয়া ধারাভাষ্যকারদের কাছ থেকেই।

ধারাভাষ্যকার সৈয়দ আবিদ হোসাইন সামি বলেন, ‘তিনজন মিলে কমেন্ট্রি করছি। এর মধ্যে একজন বলের বর্ণনা দিচ্ছেন, কজন সেটাকে কাভারআপ করছেন অ্যানালাইসিস দিয়ে দেন এক্সপার্ট অ্যানালিস্ট যিনি সে জায়গায় ইনপুট দিচ্ছেন, সেই সাথে পডকাস্টিং কমেন্ট্রি।’

ধারাভাষ্যকার আহমেদ বিন পারভেজ বলেন, ‘যখন সাবেক ক্রিকেটাররা একটা কিছু বলছেন বা একটা বিষয়কে এক্সপ্লেইন করছেন তার চেয়ে ভালো কোনো বিশ্লেষণ তো হতে পারে না।’

মাতৃভাষায় দেশের সর্বোচ্চ ক্রিকেট সম্প্রচার শুধু ইউটিউব পডকাস্ট কিংবা অ্যাপেই সীমাবদ্ধ থাকবে এমনটা নয়। বিপিএলের পরবর্তী আসরের পাশাপাশি অন্যান্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে বাংলা ধারাভাষ্যের মাধ্যমে সম্প্রচারের পরিকল্পনাও ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে।

বিসিবির নির্বাচক হান্নান সরকার বলেন, ‘আমাদের যারা এটা অবজার্ভ করছেন প্রডিউসাররা বা যারা এটাকে ফলো করছেন তাদের ফিডব্যাকগুলো আমরা পেলে অবশ্যই সে জায়গাগুলো উন্নতি করার একটা জায়গা খুঁজে পাবো।’

মুখের ভাষা, প্রাণের ভাষা বাংলায় আরও বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছাবে ক্রিকেট সেটাই প্রত্যাশা সবার। সেই সঙ্গে ধারাভাষ্য প্যানেলে যারা আছেন বাংলা ধারাভাষ্যে ভবিষ্যৎ ও সম্ভাবনা নিয়ে তারা কি ভাবছেন?

সৈয়দ আবিদ হোসাইন সামি বলেন, ‘সত্যিকার অর্থে এই সেক্টর থেকে সেলেব্রিটি তৈরি হয়নি। কারণ ডিমোটিভেটিং ফ্যাক্টরটা এখানে অনেক বেশি। আশা করছি সে জায়গাটা আগামী দিনগুলোতে ভালো হবে।’

আমি বাংলায় কথা কই, আমি বাংলায় কথা কই। আমি বাংলায় ভাসি, বাংলায় হাসি, বাংলায় জেগে রই। আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে করি বাংলায় চিৎকার।

বিপিএলসহ বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে তুলে ধরে যায় এমন সকল স্থানে সকল ক্ষেত্রে বাংলাই হোক শক্তি, বাংলা হোক অঙ্গীকার।

এসএস