নিজেদের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটে উঠেছিল বাংলাদেশ। শেষ আটে প্রথম দুই ম্যাচে বাজেভাবে হারের পরও টাইগারদের সামনে সেমিফাইনালের হাতছানি ছিল। আফগানিস্তানকে সমীকরণ মিলিয়ে হারাতে পারলেই ইতিহাস গড়তে পরতো টাইগাররা। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পৌঁছে যেত টিম টাইগার্স।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করায় শুরুতেই বাংলাদেশ প্রায় ২ কোটি ৬৬ লাখ টাকা নিশ্চিত করেছিল। এছাড়াও এবার প্রতিটি ম্যাচ জয়ের জন্য দলগুলো পাচ্ছে ৩১ হাজার ১৫৪ ডলার। সে হিসেবে তিন ম্যাচ জেতা বাংলাদেশ পেতে যাচ্ছে ৯৩ হাজার ৪৬২ ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ টাকার সমান।
সেই হিসেবে সুপার এইটে জায়গা করে নেয়ায় প্রাইজমানি হিসেবে পাচ্ছে ৩ লাখ ৮২ হাজার ৫০০ ডলার। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকারও বেশি। সবমিলিয়ে বিশ্বকাপ থেকে বাংলাদেশের আয় বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮ কোটি ২০ লাখ টাকারও বেশি।
টাইগাররা এই আয় করলেও খেলোয়াড়দের আয় এখানেই শেষ নয়। তামিম-লিটনরা তাদের চুক্তি অনুযায়ী টাকা পাবেন, এর সঙ্গে ম্যাচ ফি, জেতার বোনাসও পাবেন তারা।
তবে সেমিফাইনাল থেকে বাদ পড়া দল পাবে ৭ লাখ ৮৭ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার বা প্রায় ৯ কোটি ৩০ লাখ টাকা। আর বলা বাহুল্য শান্ত-সাকিবরা তাদের আয় করা অর্থের চেয়েও বেশি পরিমাণ অর্থ সেমিফাইনালে উঠতে না পারায় হারিয়েছে।
জানা গেছে, আইসিসির এই ইভেন্ট থেকে আয় করা ৮ কোটি ২০ লাখ টাকার এই অর্থ পুরস্কার খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফদের মধ্যে বন্টন করে দেবে বিসিবি। সবমিলিয়ে বিশ্বকাপের শেষটা ভালো না হলেও আর্থিক দিক থেকে হাসি মুখেই বাড়ি ফিরবে শান্ত-সৌম্যরা।




