আজ (শুক্রবার, ১০ অক্টোবর) সকাল ৮টায় জামায়াতে ইসলামী নোয়াখালী জেলার উদ্যোগে রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এটিএম মা’ছুম বলেন, ‘বাংলাদেশের সংসদে পূর্বেও মহিলা সদস্য নির্বাচনে পিআর পদ্ধতি চালু ছিলো, যারা বলে পিআর পদ্ধতি বুঝে না তারা এখনও বোকার স্বর্গে বাস করে। জামায়াতে ইসলামী জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও পিআর পদ্ধতিকে সামনে রেখে পাঁচ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন করছে। জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করা না হলে এদেশে পুনরায় স্বৈরশাসক তৈরি হবে। তাই জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে, ন্যায় ইনসাফের রাজনীতি প্রতিষ্ঠায় পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দিতে বাধ্য করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে অমুসলিমদের পূর্ণ অধিকার নিশ্চিত করা হবে। দেশের চার কোটি বেকারের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা হবে। প্রতিরক্ষা বিভাগকে শক্তিশালী করে গড়ে তোলা হবে। দেশ সংস্কারের লক্ষ্যে লুটপাট, ঘুষ, খুন ও খুনিদের বিচার কার্যকর করা হবে। নারীদের মর্যাদা নিশ্চিত করা হবে। শ্রমিক, দিনমজুরদের অধিকার নিশ্চিত করা হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা ব্যবস্থাকে নতুনভাবে ঢেলে সাজানো হবে।’
আরও পড়ুন:
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের দুর্নীতি দমনে আইনি কার্যক্রম আরও মজবুত করা হবে। জনগণের অধিকার রক্ষায় জবাবদিহিতার সংস্কৃতি চালু করা হবে। ন্যায়, সত্য, যোগ্য, দক্ষ ও ভদ্রলোকদের রাজনীতিতে আসতে হবে। আইনের নামে, সংবিধানের নামে মানুষের উপরে নানা ধরনের অনিয়ম, জুলুম নির্যাতন হতো। জামায়াতে ইসলামীকে দেশ শাসনের দায়িত্ব দিলে দেশে আইনের ও সৎ লোকের শাসন প্রতিষ্ঠা করবে। প্রয়োজনে সংবিধান সংশোধন করা হবে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে দেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়।’
নোয়াখালী জেলা জামায়াতে আমির ইসহাক খন্দকারের সভাপতিত্বে সম্মেলনে সঞ্চালনা করেন জেলা সেক্রেটারি মাওলানা বোরহান উদ্দিন।





