গাজী আতাউর রহমান বলেন, 'ফ্যাসিবাদী জালিম শক্তি আওয়ামী লীগ দলের পতন ঘটেছে। তারা দেশে থেকে পালিয়েছে। তারা একসময় বলতো জনগণের দ্বারা নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকার। গণতন্ত্রের জন্য মায়া কান্না করতো।'
তিনি বলেন, 'আওয়ামী লীগ সবসময় বাংলাদেশের ইসলামী শক্তিকে পাকিস্তানের পক্ষের শক্তি বলতো। সেই সাথে আমাদের পাকিস্তানে চলে যেতে বলা হতো। বাংলাদেশের ইসলামী সংগঠনের কোনো নেতাকর্মী পাকিস্তানে যায়নি। বরং যারা আমাদের পাকিস্তানি দালাল বলতো তারা ভারতে পালিয়েছে। তারা নিজেদের প্রমাণ করেছে ভারতীয় দালাল হিসেবে। তারা ভারতে বসে দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র করছে। দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য বিভিন্ন তৎপরতা করছে।'
অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে গাজী আতাউর রহমান বলেন, 'দেশে সরকার, আইন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আছে। কিন্তু কিছুই সঠিকভাবে ফাংশন হচ্ছে না। যে যার মতো হুকুম দিচ্ছে এবং ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড হচ্ছে। তাহলে সরকার বা আইন কী করছে? আমরা কোন দিকে যাচ্ছি তা ভাবতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকার যদি ব্যর্থ হয় তাহলে সামনে আরও বড় বিপদ আছে বলে আশঙ্কা করা যাচ্ছে।'
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নওগাঁর সভাপতি মাস্টার মুহাম্মদ আশরাফুল ইসলামের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (রাজশাহী বিভাগ) মুফতি শেখ মুহাম্মদ নুরুন নাবীসহ অন্যরা। পরে প্রধান অতিথি মাস্টার মুহাম্মদ আশরাফুল ইসলামকে সভাপতি, আব্দুর রহমান সহ-সভাপতি এবং প্রভাষক শহিদুল আলমকে সাধারণ সম্পাদক করে তিন সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটি ঘোষণা করেন।