এসময় মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, 'জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনাকে অটুট রেখে জাতীয় ঐক্যের পরিবেশ তৈরি করে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য যতটুকু সংস্কার প্রয়োজন, সেটা করেই নির্বাচন দিতে হবে। সংস্কার না করে যারা নির্বাচন চান, আইনের, সংবিধানের দোহাই দেন তারা বিতর্ক তৈরি করছেন। রাষ্ট্র ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য একটি অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে আইনের যেসব সংস্কার করা প্রয়োজন তা যদি এখন না করা হয় তাহলে ১৪, ১৮ এবং ২৪ এর মতো নির্বাচন হবে।'
তিনি বলেন, 'প্রশাসনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ফ্যাসিবাদের দোসররা এখনও ঘাপটি মেরে বসে আছে। এই ওসি, ইউএনও, ডিসি, সচিবদের রেখে নির্বাচন করলে আগের মতোই প্রশ্নবিদ্ধ হবে।'
শেখ হাসিনা সরকারের সমালোচনা করে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, 'মিথ্যা মামলা, মিথ্যা বাদী, মিথ্যা সাক্ষী, মিথ্যা ট্রাইবুনাল, সাজানো রায় দিয়ে ইতিহাসের বর্বরতম জুডিশিয়াল কিলিং করে জামায়াতের নেতাকর্মীদের হত্যা করা হয়েছে।'
সংস্কার নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মত পার্থক্যের বিষয়ে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, 'সংস্কার কমিশনের কাজগুলো সম্পন্ন করে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা হোক। এই কাজে সকলকে সহযোগিতা করতে হবে। যারা সহযোগিতা না করে আইনকানুন, বিধি ইত্যাদির দোহাই দিয়ে নির্বাচনকে বাঁধাগ্রস্ত করা বা সমস্যা তৈরি করার চেষ্টা করবেন বুঝতে হবে তারা সুষ্ঠু নির্বাচন হলে হয়তো পরাজয়ের ভয় করছেন। অথবা মাস্তানি করে কেটেকুটে বাক্স ভর্তি করে আবার বিজয়ী হতে চান।'
শিল্পাঞ্চল গাজীপুরে চাঁদাবাজি হচ্ছে দাবি করে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, 'মিল মালিকরা কলকারখানা চালাতে পারছেন না, তারা কারখানা বন্ধ করে দিতে চান। গাজীপুরের জেলা প্রশাসন, পুলিশ সুপার ও মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারকে রিকুয়েস্ট করছি যে দলেরই হোক না কেন কলকারখানা বন্ধ করে চাঁদাবাজি করে অর্থনীতির চাকাকে যারা অচল করে দিতে চায় তাদেরকে গ্রেপ্তার করুন। যদি তাদেরকে গ্রেপ্তার করতে না পারেন তাহলে ভেবে নিবো আপনারাও ফ্যাসিবাদের দোসরদের সাথে যোগসাজশ করেছেন।'
এর আগে সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিট থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী কর্মী সম্মেলনে যোগ দিতে আসেন। নেতাকর্মীদের উপচে পড়া ভিড়ে পুরো সম্মেলনস্থল কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে যায়।