মহাসড়কে বাড়ছে ডাকাতি, উৎকণ্ঠায় যাত্রী-চালক

.
দেশে এখন
0

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বাড়ছে ডাকাত আতঙ্ক। কয়েকদিনে ডাকাতির ঘটনায় উৎকণ্ঠা বেড়েছে যাত্রী-চালকদের। দুর্বৃত্তদের টার্গেটে থাকে পণ্যবাহী পরিবহন, মোটরসাইকেল কিংবা দূরপাল্লার গাড়ি থেকে নামা যাত্রীরা। হাইওয়ে পুলিশ বলছে, মহাসড়কে নিরাপত্তা জোরদার করা হচ্ছে। অপরাধীদের ধরতে কাজ করছে থানা পুলিশও।

কুমিল্লার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। দিনের বেলায় লোকালয়ে ব্যস্ত এই মহাসড়ক ভয়াবহ হয়ে উঠে রাতে। কুমিল্লা থেকে নারায়ণগঞ্জ অংশে ঘটে ছিনতাই ও ডাকাতির মতো ঘটনা।

গেল ছয় মাসে অন্তত অর্ধশতাধিক ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে এই মহাসড়কে। দুর্বৃত্তদের টার্গেটে প্রবাসীদের গাড়ি, বাদ যায় না পণ্যবাহী পরিবহনও। হাতিয়ে নেয়া মূল্যবান জিনিসপত্র।

পথচারীদের মধ্যে একজন বলেন, 'বাসা থেকে বের হওয়ার পর আবার নিরাপদে বাসায় ফিরতে চাই।'

রাতে এই রাস্তায় গাড়ি চালকদের মধ্যে একজন বলেন, 'ভাঙাচুরা গাড়ি নিয়ে ইচ্ছা করে আমাদের গাড়ির সয়ে লাগিয়ে দেয়। লাগিয়ে দেয়ার পর বলে লাগাইছো কেন? এটা বলার পর পিস্তল ঠেকায়া গাড়ি নিয়ে যায় না হলে মাল-সামানা নিয়ে যায়। আমাদের টাকা পয়সা যা আছে সব নিয়ে যায়।'

মাসের শুরুতে চৌদ্দগ্রাম ও সদর দক্ষিণ অংশে পরপর তিন দিনে তিনটি ডাকাতির ঘটনায় মিয়া বাজার হাইওয়ে থানার ওসিকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম বৃহত্তর কুমিল্লা ও নোয়াখালীর জেলাগুলো প্রবাসী অধ্যুষিত বলেই পরিচিত। ডাকাতদের প্রধান টার্গেট থাকে বিমানবন্দর থেকে গন্তব্যে ফেরা প্রবাসীদের গাড়ি। অনেকেই ডাকাতি কিংবা ছিনতাইয়ের কবলে পড়লেও বাড়তি ঝামেলা এড়িয়ে যেতে মামলা কিংবা অভিযোগ দেন না পুলিশের কাছে।

ইউটার্ন, ঝোপ ঝাড়ে অবস্থান নেয়া ডাকাতরা লোহা বা ইট ছোড়ে যানবাহনে। পরে ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে চলে ডাকাতি। বাঁধা দিলে পরিণতিও হয় ভয়াবহ। এর প্রতিবাদে বিভিন্ন কর্মসূচিতে সড়কে নিরাপত্তা বাড়ানোর আহ্বান জানান চালক-মালিকরা।

একজন চালক বলেন, 'প্রশাসন থাকা থেকে যদি এন্টি-ক্রাইম মিটিং করে যদি তাদের চিহ্নিত করতে পারে সেটাই হবে প্রশাসনের মূল কাজ।'

হাইওয়ে পুলিশ বলছে, ডাকাতি বা ছিনতাই প্রতিরোধে মহাসড়কে টহল জোরদার করা হয়েছে।

কুমিল্লা জোন হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক খাইরুল আলম বলেন, 'এ ব্যাপারে আমরা জেলা পুলিশ এবং হাইওয়ে পুলিশ একসঙ্গে কাজ কর্ম করি। চরি, ডাকাতি যেটাই বলি না কেন, পুরোটাই অনাকাঙ্ক্ষিত। এ বিষয়ে আমরা কাজ করছি। এবং এ ধরনের ঘটনা যেন না ঘটে সে বিষয়ে আমরা এই কাজগুলো করে যাবো।'

চলতি রমজানে রাতের নীরবতায় থেমে নেই ডাকাতি। উদ্বেগ কাটাতে ছিনতাই ও ডাকাতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি যাত্রী ও চালকদের।

এসএস