দেশে এখন
0

বই ঘাটতি নিয়েই নোয়াখালীতে নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের

বছরের প্রথম দিনে ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখর ছিল নোয়াখালীর প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো। নতুন বছরের শুরুর দিনেই নতুন বই হাতে পেয়ে আনন্দে মেতে উঠেছিল তারা। এ বছর বইয়ের কাগজ ও ছাপার মানও অন্য বছরের থেকে তুলনামূলক ভালো বলে মনে করছেন অভিভাবকরা। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে জেলার মোট চাহিদার অর্ধেক শিক্ষার্থী, মাদ্রাসা পর্যায়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থী নতুন বই হাতে পান নি। মাধ্যমিক পর্যায়ের কোনো শিক্ষার্থীর হাতেই বছরের প্রথম দিনে নতুন বই তুলে দেয়া হয়নি। তবে আগামী দু-এক সপ্তাহের ভেতরেই বাদ পড়া শিক্ষার্থীরা নতুন বই হাতে পাবেন বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

জানা যায়, নোয়াখালীতে প্রাথমিক পর্যায়ে নতুন বইয়ের মোট চাহিদা ছিল ১৬ লাখ যার বিপরীতে বই হাতে পেয়েছেন ৭ লাখ ৮৪ হাজার। মাধ্যমিক পর্যায়ে স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরিতে জেলার ৯ উপজেলায় বইয়ের মোট চাহিদা ৬৪ লাখ ২ হাজার ৬৬৮টি। যার বিপরীতে এখন পর্যন্ত প্রায় ১০ লাখ বই বিদ্যালয়গুলোতে সরবরাহ করা হয়েছে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন জানান, আমরা প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির শতভাগ শিক্ষার্থীর জন্য বিদ্যালয়গুলোতে বই দিতে পারলেও এখনো চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির কোনো শিক্ষার্থীর হাতে বই দিতে পারি নি। ছাপাখানাগুলোর সাথে আমাদের যোগাযোগ চলছে। আমরা আশা করছি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বাকি বইগুলো আমরা বুঝে পাবো।

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নুর উদ্দিন মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, ‘আমরা এখনো মাধ্যমিক পর্যায়ের অধিকাংশ বই বুঝে পাইনি। তাই বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন বই ও তুলে দিতে পারিনি। আমরা আশা করছি আগামী দু-এক সপ্তাহের ভেতর বইগুলো বুঝে পাবো এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে তা বিতরণ করতে পারবো।’

এএইচ