দেশে এখন
0

হাতিয়ায় যেতে যেন ভোগান্তির শেষ নেই

নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হাতিয়া। তিনশ' বছরের পুরনো এই দ্বীপে এখনও যাতায়াত নিয়ে ভোগান্তির শেষ নেই। স্থানীয়দের দাবি, সিন্ডিকেটের কারণে আধুনিক যাতায়াতের ব্যবস্থা থমকে আছে।

বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন এক দ্বীপ উপজেলার নাম হাতিয়া। বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেঁষে মেঘনার বুকে জেগে ওঠা দুই হাজার ১০০ বর্গকিলোমিটারের এই দ্বীপে বসবাস করে আট লাখের বেশি মানুষ। তিনশ' বছরের পুরোনো এই দ্বীপে উন্নত যাতায়াত ব্যবস্থা বলতে নৌপথই একমাত্র ভরসা।

নোয়াখালী থেকে ১৮ কিলোমিটার নৌপথ পাড়ি দিয়ে দ্বীপটিতে পৌঁছাতে হয়। এই পথ পাড়ি দিতে প্রতিনিয়ত ভোগান্তির মুখে পড়তে হয় স্থানীয়দের। জরুরি কাজে কিংবা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লেও নদী পথে ট্রলার ও স্পিডবোটই শেষ অবলম্বন। বর্ষাকালে উত্তাল নদীতে এই পথ হয়ে ওঠে আরও বিপজ্জনক।

ট্রলারে যাতায়াতকারী একজন যাত্রী বলেন, 'নদীর ওপারে যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটে, মানুষ এই যাতায়াতে খুব অস্বস্তি ভোগ করে।'

অন্য একজন যাত্রী বলেন, 'আমাদের অনেক অসুবিধা হয়। জরুরি ভিত্তিতে একটা ফেরি প্রয়োজন। নৌপথে ট্রলার দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যেতে হয়।'

যাতায়াতের সমস্যা সমাধানে সরকারিভাবে বেশ কয়েকবার ফেরির নাব্য ও কার্যক্রমের সমীক্ষা চালানো হলেও বাস্তবে কোনো ফল মেলেনি, অভিযোগ স্থানীয়দের। অন্যদিকে লঞ্চ ও ট্রলার চালকদের একচেটিয়া ব্যবসায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাতায়াতকারীদের।

হরণি এবং চানন্দি ইউনিয়ন থেকে নলচিরা ঘাটে ফেরি চলাচলের সুযোগ থাকলেও নেই কোনো ব্যবস্থা। স্থানীয় প্রশাসন বলছেন, ইতোমধ্যে এই রুটে ফেরি চালুর লক্ষ্যে ১০ কোটি ৮৪ লাখ টাকার চাহিদার চিঠি দেয়া হয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ে।

নোয়াখালী হাতিয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইবনে আল জায়েদ হোসেন বলেন, 'ফেরি চলাচলের জন্য এরইমধ্যে গত মাসে আন্তঃমন্ত্রণালয়ে একটি বৈঠক হয়। সেখানে বিআইডাব্লিউটিএ, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট যারা আছেন তাদের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রায় ১০ কোটি ৮৪ লাখ টাকার বরাদ্দ চেয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়া হয়েছে। এবং সে ব্যাপারে কাজ চলছে।'

প্রতিদিন প্রায় পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ যাতায়াত করেন এই নৌপথে।

এসএস