কুমিল্লার দক্ষিণাঞ্চল, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরের বাসিন্দাদের সড়ক যোগাযোগের একমাত্র পথ কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়ক। ২০১৮ সালে ২ হাজার ১৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে মহাসড়কটির চার লেনে উন্নীতকরণের কাজ শুরু হয়।
তবে ৬ বছরে দুই দফায় বরাদ্দ ও প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়েও শেষ হয়নি এর কাজ। ৫৯ কিলোমিটার সড়কটির ৮ কিলোমিটার অংশের কাজ শেষ না করেই গেল বছরের জুনে প্রকল্পের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। অসম্পূর্ণ প্রকল্পটি বিগত সরকারের আমলে উদ্বোধনও করা হয়।
মহাসড়কের বাগমারা বাজারের ১ দশমিক ৬ কিলোমিটার সড়কের যানজট যাত্রীদের নিত্যসঙ্গী। অভিযোগ রয়েছে, অধিগ্রহণ জটিলতায় রাজনৈতিক প্রভাব এবং দখলদারদের মামলায় এ যানজট এবং সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প ঝুলে থাকার মূল কারণ। যে কারণে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের এই মেগা প্রকল্পের ৮ কিলোমিটার সড়ক এখন যাত্রীসাধারণের গলার কাঁটা।
ভূমি মালিকদের দাবি, জমি অধিগ্রহণ নিয়ে আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় ঝুলে আছে প্রকল্পের কাজ । নির্ধারিত মূল্যে সরকারকে জমি দেয়ার ইচ্ছা থাকলেও অবৈধ দখলদারদের মামলায় অধিগ্রহণ জটিলতা ভোগান্তিতে রূপ নিয়েছে।
তবে সড়ক বিভাগ বলছে, প্রকল্পটি সম্পূর্ণ করতে মন্ত্রণালয় থেকে ভূমি অধিগ্রহণের অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। দ্রুতই কাজ শুরু হবে।
কুমিল্লার সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীতি চাকমা বলেন, ‘ভূমি মন্ত্রণালয়ের কিছু জিজ্ঞাসা ছিল সেগুলোর জবাব আমরা দিয়েছি। এছাড়া ভূমি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করছি, আশা করছি অচিরেই ভূমি মন্ত্রণালয় আমাদের অনুমোদন দেবেন।’
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছার বলেন, ‘মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে এখন ভূমি অধিগ্রহণ চলমান রয়েছে। ভূমি মন্ত্রণালয়ের ফাইলটি অনুমোদনের জন্য প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আমরা আশা করছি খুব দ্রুত অনুমোদনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। আমাদের কাছে টাকা প্রস্তুত করা আছে। তখন আমরা অধিগ্রহণ শেষ করে রাস্তার কাজটি শেষ করতে পারবো।’
কাজ শেষ না হওয়ায় মহাসড়কের কুমিল্লার লাকসাম, বাগমারা, শানিচোঁ ও কাকসার মৌজায় দীর্ঘ যানজট লেগেই থাকে, অহরহ ঘটছে দুর্ঘটনাও। বাড়ছে যাত্রা সময় ও ব্যয়।