নোয়াখালীর তরুনী ফেন্সী হুমায়রা। ৭ বছর আগে শখের বসে কাজের প্রশিক্ষণ নেন বিউটি পার্লারের। প্রশিক্ষণ শেষে চাকরির পেছনে না ঘুরে নিজেই চালু করেন পার্লার। কয়েক মাস পর সেখানেই চালু করেন প্রশিক্ষণ সেন্টার। ঘুরে যায় জীবনের মোড়। এখন মাসিক আয় লাখ টাকার বেশি। তার প্রতিষ্ঠানে কর্মসংস্থান হয়েছে আরো ৬ জনের।
তার মতো জেলার আরো দুই হাজারের বেশি নারী উদ্যোক্তা নিজেদের চেষ্টায় সফল হয়েছেন। যাদের কেউ সেলাই করেন, কেউ রঙবেরঙের গহনা, কেউ আবার সরবরাহ করছেন মুখরোচক খাবার।
সংখ্যা বাড়লেও নারী হিসেবে ব্যবসা করা চ্যালেঞ্জিং বলে দাবি তাদের। তবে, নারীদের সহায়তায় নানা উদ্যোগের কথা জানায় জেলা প্রশাসন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুহাম্মদ ইসমাইল বলেন, ‘আমাদের যারা ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তা রয়েছেন। তাদের যে প্রশিক্ষণ প্রয়োজন তা যাতে তারা ঠিকভাবে নিতে পারেন এর জন্য আমরা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, মহিলা অধিদপ্তর, বিসিকসহ অন্য আরো যেসব প্ল্যাটফর্ম যেগুলো রয়েছে সেগুলোর মাধ্যমে আমরা তাদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছি। এছাড়া তারা যদি কোনো সমস্যা সম্মুখীন হন তাহলে আমরা তা অব্যশই সমাধানের চেষ্টা করে থাকি।’
উপকূলীয় জেলা নোয়াখালীতে দুই হাজারের বেশি নারী উদ্যোক্তা রয়েছে। যারা বছরে দেশের অর্থনীতিতে জোগান দিচ্ছে প্রায় ২০ কোটি টাকা।