১৯৭১ এ স্বাধীন হওয়া এই ভূখণ্ডের রাজনীতিতে প্রথম বড় পরিবর্তন আসে ৭৫ পরবর্তী সময়ে।
শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পর অস্থির সময়ের বাংলাদেশের রাজনীতিতে অভ্যুত্থান পাল্টা অভ্যুত্থানের ঘটনা যেমন ঘটে তেমনি ঘটনাক্রমে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা তৈরির ভূমিকায় সামনে চলে আসেন তৎকালীন সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমান।
ইতিহাসের সেই সময়কে স্মরণ করে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে বিএনপি যখন বিপ্লব ও সংহতি দিবসের আলোচনা সভার আয়োজন করেছে তখন বাংলাদেশে ঘটে গেছে আরেকটি গণঅভ্যুত্থান।
গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে রাষ্ট্র সংস্কার। কিন্তু সেই রাষ্ট্র সংস্কারকে ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে তৈরি হচ্ছে নানা মতবিরোধ। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যেও উঠে আসে সংস্কার প্রসঙ্গ।
তিনি বলেন, 'তার উপরে দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে। এই অতি অল্প সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলো করে দেশের মানুষকে আবার গণতন্ত্রে ফিরিয়ে আনতে হবে। গণতন্ত্রের জন্য তারা সংগ্রাম করেছে লড়াই করেছে, প্রাণ দিয়েছে। আমরা আশা করবো অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলো করে অবিলম্বে দেশের মানুষের সামনে নির্বাচনের একটা পরিবেশ বের করবেন, নির্বাচনের মাধ্যমেই জনগণের শাসকের প্রতিষ্ঠা করতে সাহায্য করবেন। এটাই সকলের প্রত্যাশা।'
আলোচনা সভার প্রধান অতিথি দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জানান, অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ করতে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
তারেক রহমান বলেন, 'বর্তমান পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ করে দিতে পলাতক স্বৈরাচারের দোসরদের ষড়যন্ত্র কিন্তু থেমে নেই। ক্ষমতা হারিয়ে ৫ আগস্টের পরাজিত শক্তি এখন কিন্তু আবার বিশ্বে বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত করানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে।'
এই যে ষড়যন্ত্র এবং সংস্কারমুখী নানা রাজনৈতিক আলোচনা তার তার স্থায়ী সমাধানের জন্য জনগণের নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমেই সম্ভব বলে বলছেন তিনি।
তারেক রহমান বলেন, 'রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্বৈরাচার কিংবা ফ্যাসিবাদের সহযোগী ভূমিকায় দেখতে না চাইলে জনগণের রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন প্রয়োজন। অন্যথায় স্বাধীনতা গণতন্ত্র উন্নয়ন কিংবা বিধি বিধানের সংস্কার টেকসই হবে না। প্রতিষ্ঠানগুলোকে টেকসই রাখা যাবে না।'