নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার পাশাপাশি দ্রুত সংস্কার সম্পন্নের দাবিতে বুধবার (১৬ এপ্রিল) প্রধান উপদেষ্টার সাথে বিএনপির বৈঠক হলেও অসন্তোষ নিয়ে ফিরতে হয় দলটিকে।
এবার নির্বাচনকে সামনে রেখে সংস্কার প্রস্তাব এগিয়ে নেয়া এবং মতানৈক্য দূর করতে জাতীয় সংসদ ভবনে ঐকমত্য কমিশনে বিএনপির প্রতিনিধি দল। বৈঠকের আগে সূচনা বক্তব্যে, সংস্কার বেশি ভালো করতে গিয়ে মানুষের পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা যেন স্তিমিত না হয়ে যায় সে ব্যাপারে সতর্ক করেন বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খান।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, 'আমরা দেশের সকল রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা করে ৩১ দফা রাষ্ট্র সংস্কার কর্মসূচি দিয়েছি। আমরা এটাও বলেছি যে, এর চেয়ে ভালো প্রস্তাব কারো থাকলে আমরা সেটা সাদরে গ্রহণ করবো।'
রুদ্ধদ্বার বৈঠকের সময় গণমাধ্যমের কাছে নিজেদের মতামত তুলে ধরতে এসে দলের স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, কমিশনের মৌলিক প্রস্তাবনাগুলো নিয়ে আলাপ করে ঐকমত্যে আসার চেষ্টা করা হবে।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, 'আমরা বিচার বিভাগ, প্রশাসন এবং নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের ওপর বিস্তারিত প্রতিবেদন জমা দিয়েছি, এগুলো নিয়ে আলোচনা চলছে। আমরা সংবিধান সংস্কার দিয়ে শুরু করছি, এরপর বিচার বিভাগ এবং সবশেষে নির্বাচন ব্যবস্থা হবে। আলোচনা আজ সমাপ্ত করতে না পারলে, পরেও আলোচনা হবে।'
পরে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ বলেন, স্থায়ী গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় ঐকমত্যের ভিত্তিতে জাতীয় সনদ তৈরি করাই তাদের মূল লক্ষ্য।
আলী রীয়াজ বলেন, 'যেসব বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে একটা ঐকমত্য তৈরি করে অগ্রসর হতে চাই সেটা রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে দিয়েছিলাম এবং তারই পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের পক্ষ থেকে আন্তরিকভাবে এবং সুচিন্তিতভাবে আমাদেরকে তাদের মতামত জানিয়েছে।'
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছিলো ঐকমত্য কমিশন। সংস্কার নিয়ে চূড়ান্ত ঐকমত্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত ধারাবাহিক আলোচনা অব্যাহত রাখার কথা জানায় বিএনপি।