বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে ১ লাখ ৮০ হাজারকে ফেরত পাঠানোর যোগ্য চিহ্নিত করায় ফের আলোচনায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যু। যদিও জান্তা সরকারের এমন আশ্বাসে ভরসা নেই রোহিঙ্গাদের। তারা জানেন, তাদের মাতৃভূমির প্রায় ৯০ শতাংশই এখন আরাকান আর্মির দখলে।
রোহিঙ্গা নেতারাও বলছেন, নিজ দেশে ফিরতে আগ্রহী হলেও তাদের ফেরার মতো নিরাপদ পরিবেশ রাখাইনে নেই।
তবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্যোগকে কূটনৈতিকভাবে ‘বড় অগ্রগতি’ মনে করেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা। যদিও তাদের পরামর্শ, প্রত্যাবাসন ইস্যুতে আরাকান আর্মির সঙ্গে বোঝাপড়া চালিয়ে নিতে হবে বাংলাদেশকে।
নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর (অব) ড. নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ বলেন, ‘বাস্তবতা হচ্ছে এখন রাখাইন যে অঞ্চলটা রয়েছে সেটার ৯০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। বিশেষ করে আমরা যদি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন করতে চাই তাহলে এ পথ দিয়ে তাদের ফিরতে হবে। সীমান্তে যে চৌকিগুলো আছে সেগুলো আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সুতরাং তাদের সঙ্গে সমঝোতা না করে আমাদের পক্ষে একজন রোহিঙ্গাকেও ওই পাশে পাঠানো সম্ভব না।’
আরো পড়ুন:
মিয়ানমার নিয়ে চীন-মার্কিন ভিন্ন স্বার্থের ভারসাম্য বজায় রাখার চ্যালেঞ্জও নিতে হবে বাংলাদেশকে।
তিনি বলেন, এটা একটি ক্যাওটিক জনপদ। বিভিন্ন স্বার্থবাদী গোষ্ঠী এখানে বিভিন্ন স্বার্থ নিয়ে কাজ করছে। এখানে রোহিঙ্গা ফেরত যাওয়া নিয়ে নতুন একটা সমস্যা তৈরি হবে। চীন কিন্তু এটা চাইবে না। বিশেষ করে তাদের এলাকার স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার জন্য। যারা চায় চীনের বিরুদ্ধে কিছু গড়ে উঠুক তারা কিন্তু এখানে বিনিয়োগ করার সুযোগ পাচ্ছে।’
তবে সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে পুরোদমে শুরু না করতে পারলেও ঈদের আগে প্রতীকী হলেও শুরু হবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন, প্রত্যাশা অবসরপ্রাপ্ত এই সেনা কর্মকর্তার।
মেজর (অব) ড. নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ বলেন, আগামী ঈদে সিম্বলিক বা প্রতীকী হলেও কিছু মানুষ আরাকানে পৌঁছাতে পারবে।’