সাগরের নীল জলরাশিতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন ভ্রমণপিপাসুরা। অনেকে আবার ছাতার নিচে বসে উপভোগ করছেন সাগরের বিশালতা।
কক্সবাজারের লাবনী-সুগন্ধা থেকে শুরু করে কলাতলী পয়েন্ট সর্বত্রই পর্যটকে মুখরিত। ঢল নেমেছে শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে সব বয়সী পর্যটকের। কেউ সৈকতের বালিয়ারিতে ঘোড়ার পিঠে ঘুরছেন কেউ আবার দ্রুতগতির জেটস্কি নিয়ে ছুটে যাচ্ছেন গভীর সমুদ্রে। অনেকে আবার বালুচরে দাঁড়িয়ে মুহূর্তগুলো করছেন ফ্রেমবন্দি। পর্যটকদের এমন সমাগমে গতি ফিরেছে পর্যটনকেন্দ্রিক ব্যবসা-বাণিজ্যে।
পর্যটন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গেল এক সপ্তাহে কক্সবাজারে অন্তত আড়াইশ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। পর্যটকদের মধ্যে একজন জানান, অন্য সময় এতো ভিড় থাকে না। ছুটি থাকার কারণে হয়তো এমন অবস্থা।
আরও একজন জানান, ভিড়ের জন্য হোটেলও সমস্যা হচ্ছে তবে মানিয়ে নিয়েছি। আর সমুদ্র উপভোগ করছি।
এদিকে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে পর্যটকদের পদচারণায় আপন রূপে ফিরেছে সমুদ্র কন্যা কুয়াকাটা। সূর্যোদয়-সূর্যাস্ত, সমুদ্রের ঢেউ, সবুজ বনানী আর লাল কাঁকড়ার বিচরণ দেখতে ভ্রমণপিপাসুদের বিরামহীন ছুটে চলা সেখানে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, স্থানীয় দুই শতাধিক হোটেল-মোটেল, রিসোর্টের ৫০ থেকে ৯০ শতাংশ রুম বুকিং হয়ে গেছে। কুয়াকাটার পর্যটকদের মধ্যে একজন জানান, এখানে এসে আমরা অসাধারণ আনন্দ উপভোগ করছি।
সকাল বেলা সূর্যোদয় দেখলাম। আর এখন সাগরের উত্তাল টেউ দেখছি বলেও জানান আরও একজন। খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবানে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা থাকায় অন্যান্য সময়ের তুলনায় পর্যটক বেড়েছে কুয়াকাটায়।