অপরাধ ও আদালত
দেশে এখন
0

শিক্ষার্থী হত্যাসহ তিনটি মামলায় কারাগারে সাবেক মেয়র আতিক

মোহাম্মদপুর থানায় শিক্ষার্থী রফিক হাসান হত্যাসহ আলাদা তিনটি মামলায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আদালতে আতিকুল ইসলামের শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, 'সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব পালনের সময় নানা আর্থিক কেলেঙ্কারি, ভূমি দখলের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তিনি। এছাড়া ছাত্র-জনতার আন্দোলন উস্কে দিয়েছে তিনি।' তবে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাকে নির্দোষ দাবি করে জামিন চান।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আনিসুল হকের মৃত্যুর পর কপাল খুলে যায় ব্যবসায়ী আতিকুল ইসলামের। ২০১৯ সালের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমর্থনে মেয়র পদে জয় পান তিনি। দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই আতিকের বিরুদ্ধে আসতে থাকে ভূমি দখল, অর্থ আত্মসাৎ ও সিটি করপোরেশনের নিয়োগে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ। মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় কাজের চেয়ে ডাক ঢোল পিটিয়ে আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রেও ছিলেন তিনি।

গত ৫ই আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর থেকেই আত্মগোপনে ছিলেন আতিক। তার বিরুদ্ধে কয়েকটি হত্যা মামলা হলে ১৬ আগস্ট সন্ধ্যায় মহাখালী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

আজ (বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টেবর) ঢাকার আদালতে হাজির করে শিক্ষার্থী রফিক হাসান হত্যা মামলাসহ পৃথক তিন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়। পরে রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের আইনজীবীদের শুনানি শেষে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠায় আদালত।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, 'আতিকুল ইসলাম সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব পালনের সময় নানা দুর্নীতি করেছেন। এছাড়া ছাত-জনতার আন্দোলন দমনে নেতাকর্মীদের উস্কে দিয়ে পৈশাচিকভাবে আনন্দ উল্লাস করেছেন তিনি।'

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, 'সে এতোদিন পলাতক ছিল। এখন সে আটক হয়েছে এবংবহুবার পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে কিন্তু যেতে পারে নাই। সে যদি মুক্তি পাই তাহলে যারা পালাইতে চায় তাদেরকে সে সাহায্য করবে। ফ্যাস্টিট হাসিনা যারা পালিয়ে আছে তাদেরকে নিয়ে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে।'

এসময় আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাকে নির্দোষ দাবি করে জামিন চাইলে আদালত তা নামঞ্জুর করেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী মোরশেদ হোসেন শাহিন বলেন, 'আমরা জামিন চেয়েছি এবং আমরা বলেছি মেয়র আতিকুল এইসব কিছুর সাথে সম্পৃক্ত নয়। যতক্ষণ পর্যন্ত তদন্ত না আসে ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা এই মামলার আসামি না। তাকে রাজনৈতিক কারণে এই মামলায় সম্পৃক্ত করা হয়েছে।'

এছাড়া এদিন পল্টন, মোহাম্মদপুর, আদাবর থানার পৃথক কয়েকটি মামলায় সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ মজুমদার, সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, সাবেক সচিব জাহাঙ্গীর, ছাত্রলীগ নেতা সৈকত ও ব্যবসায়ী দিলীপ কুমার আগারওয়ালকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।