সাতক্ষীরার কারিগরি শিক্ষার্থীদের আবারো বিক্ষোভ

আন্দোলনরত কারিগরি শিক্ষার্থীরা
আন্দোলনরত কারিগরি শিক্ষার্থীরা | ছবি: সংগৃহীত
0

বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে দীর্ঘ সাড়ে চার কিলোমিটার পথ মিছিল সহকারে এসে সাতক্ষীরায় সড়ক অবরোধ করে আবারো বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা।

আজ (শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল) বিকেলে সাতক্ষীরা শহরের খুলনা রোডের মোড়ে তারা সড়ক অবরোধ করেন। অবরোধে সাতক্ষীরা সরকারি পলিটেকনিকসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সিভিল টেকনোলজির সপ্তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মোমিনুল ইসলাম, তুহিন রিয়াদ, মুন্সি ফাহিম, এস এম এল হেলাল, মতিউর রহমান প্রমুখ।

এ সময় তাদের একজন বলেন, 'ল্যাব সহকারীরা আমাদের শিক্ষক হতে পারেন না। কারিগরি শিক্ষার জন্য আলাদা মন্ত্রণালয় ঘোষণা করে কমিশন গঠন করতে হবে। কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিতদের নিয়োগ দিতে হবে। আমরা আগেও একাধিকবার এই দাবি উত্থাপন করেছি, কেউ কর্ণপাত করেনি।'

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্র্যাফট ইনস্ট্রাক্টরদের ৩০ শতাংশ প্রমোশন কোটা বাতিল করতে হবে। জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্র্যাফট ইনস্ট্রাক্টরদের অবৈধ পদোন্নতির রায় হাইকোর্ট কর্তৃক বাতিল করতে হবে। ক্র্যাফট ইনস্ট্রাক্টরদের পদবি পরিবর্তন, মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের চাকরিচ্যুত করতে হবে।

দ্বিতীয় দাবি, ২০২১ সালে রাতের আঁধারে নিয়োগপ্রাপ্ত ক্র্যাফট ইনস্ট্রাক্টরদের নিয়োগ সম্পূর্ণভাবে বাতিল এবং সেই বিতর্কিত নিয়োগবিধি অবিলম্বে সংশোধন করতে হবে।

তৃতীয় দাবি, ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে যেকোনো বয়সে ভর্তির সুযোগ বাতিল করতে হবে। উন্নত বিশ্বের আদলে চার বছর মেয়াদি মানসম্পন্ন কারিকুলাম চালু করতে হবে এবং অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম পর্যায়ক্রমে ইংরেজি মাধ্যমে করতে হবে।

চতুর্থ দাবি, কারিগরি সেক্টর পরিচালনায় পরিচালক, সহকারী পরিচালক, বোর্ড চেয়ারম্যান, উপসচিব, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, অধ্যক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সব পদে কারিগরি শিক্ষাবহির্ভূত জনবল নিয়োগ নিষিদ্ধ করতে হবে এবং তা আইনানুগভাবে নিশ্চিত করতে হবে। এই পদগুলোয় অনতিবিলম্বে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবল নিয়োগ ও সব শূন্য পদে দক্ষ শিক্ষক ও ল্যাব সহকারী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে।

শিক্ষার্থীদের পঞ্চম দাবি, স্বতন্ত্র কারিগরি ও উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা ও কারিগরি শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠন করতে হবে।

আর ষষ্ঠ দাবি, পলিটেকনিক ও মনোটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগের লক্ষ্যে একটি উন্নত মানের টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে। পাশাপাশি নির্মাণাধীন চারটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে (নড়াইল, নাটোর, খাগড়াছড়ি ও ঠাকুরগাঁও) পলিটেকনিক ও মনোটেকনিক থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের জন্য অস্থায়ী ক্যাম্পাস ও ডুয়েটের আওতাভুক্ত অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে আগামী সেশন থেকে শতভাগ সিটে ভর্তির সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে।

এসএইচ