টানা ছুটিতে পর্যটকের পদচারণায় মুখর বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সৈকতের লাবনী থেকে শুরু করে সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্টে উপচেপড়া ভিড়।
দৈনন্দিন একঘেয়ে জীবন থেকে স্বস্তির শ্বাস নিতে বন্ধু-বান্ধব ও পরিবার নিয়ে অনেকেই ছুটে এসেছেন সৈকতে। কেউ গান গেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। কেউ আবার সমুদ্র স্নানে মেতেছেন। সবার চোখেমুখেই আনন্দ-উচ্ছ্বাস।
পর্যটকদের মধ্যে একজন জানান, আমরা আসছি ৪৭ জন। এর আগেও তিনবার এসেছি। এখানে এসে খুবই ভালো লাগছে।
আরও একজন জানান, সরকারি ছুটি পেয়ে কক্সবাজার আসছি। অনেক আনন্দ করতেছি। বাচ্চা পরিবারকেও নিয়ে আসছি।
লম্বা ছুটিতে পর্যটন নগরীর ৫ শতাধিক হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট গেস্ট হাউসে ভাড়া হয়েছে শতভাগ কক্ষ। বিপুল পর্যটকের চাপ সামলাতে তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।
কক্সবাজার জোন ট্যুরিস্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার আবুল কালাম বলেন, 'এই দুর্গাৎসব এবং ভিড়ের জন্য আমরা জেলা পুলিশ এবং সেনাবাহিনী, বিডিআর, বিজিপি সহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য যারা নিয়োজিত আছে সবার সাথে সমন্বয় করে ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার বাজার নিচ্ছে।'
বর্ষার শেষ ও শীতের আগে দুর্গাপূজার ছুটিতে পর্যটকদের ভিড় বেড়েছে সমুদ্র কন্যা কুয়াকাটাতেও। প্রখর রোদ উপেক্ষা করে বিভিন্ন বয়সের পর্যটক মেতেছেন উল্লাসে।
পর্যটকের আগমন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গতি পেয়েছে পর্যটনখাত সংশ্লিষ্ট বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো। চারদিনের এ ছুটিতে কুয়াকাটার পর্যটন ব্যবসায়ীদের শত কোটি টাকা বাণিজ্যের আশা।
ব্যবসায়ীদের মধ্যে একজন জানান, বিগত দিনে লোকজন কম ছিল। বেচাঁ বিক্রি কম ছিল। এখন লোকের আনাগনাও বেশি বিক্রিও ভালো।
পর্যটকদের মধ্যে একজন জানান, কুয়াকাটার সাগরে আসলে গোসল করতে অনেক ভালো লেগেছে । অনেক আনন্দ করলাম।
ছুটিতে সময় কাটাতে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তা ও সেবা নিশ্চিতে সামগ্রিক প্রস্তুতির কথা জানান ট্যুরিস্ট পুলিশের কর্মকর্তা।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ পুলিশ সুপার মো. আনসার উদ্দিন বলেন, 'সাগরকন্যা কুয়াকাটায় আগত পর্যাটকদের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। গোয়েন্দা নজরদারিতে আমাদের সাদা পোশাকে লোক রয়েছে।'
এদিকে দীর্ঘদিনের পর্যটনখাতের খরা কাটিয়ে প্রাণ ফিরে পেয়েছে মৌলভীবাজারের দর্শনীয় স্থানগুলো। হোটেল-রিসোটে ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ ছাড় থাকায় অধিকাংশ হোটেল-মোটেল ও রিসোর্ট পর্যটককে ঠাঁসা।
কক্সবাজারে পাঁচ শতাধিক হোটেল, কুয়াকাটার দুই শতাধিক ও মৌলভীবাজারে পর্যটনখাত মিলিতে ৪শ কোটি টাকার বেশি বাণিজ্যের আশা সংশ্লিষ্টদের।