বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহায়তায় ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) ডাকা ৭২ ঘণ্টা ধর্মঘটে সাজেকে আটকা পড়া ১ হাজার ৪০০ জন পর্যটককে খাগড়াছড়িতে প্রত্যাবর্তন করা হয়েছে।
এদিকে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে রাঙামাটির পরিস্থিতি। সাধারণ ব্যবসায়ীরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলেছেন। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরাও নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন।
এর আগে খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে সংঘাতের ঘটনায় শনিবার সকাল থেকে ‘সিএইচটি ব্লকেড’ নামে তিন পার্বত্য জেলা (রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান) ৭২ ঘণ্টা সড়ক ও নৌপথ অবরোধের ডাক দেয় ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)।অবরোধের কারণে শনিবার থেকে সাজেকে আটকা ছিলেন প্রায় দেড় হাজার পর্যটক।
পার্বত্য চট্টগ্রামে গত ৭২ ঘণ্টার অবরোধের কারণে সাজেকে আটকে পড়া পর্যটকদের সহায়তায় নানা পদক্ষেপ নেয় সেনাবাহিনীর বাঘাইহাট জোন। তাদের হাতে নেওয়া কার্যক্রমগুলো হলো...
১. ২১ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রামে ৭২ ঘণ্টার সড়ক ও নৌপথ অবরোধের ফলে বাঘাইহাট জোনের আওতাধীন সাজেক এলাকায় প্রায় ১৪০০ পর্যটক আটকে পড়েন।
২. অবরোধ কার্যকর করতে পাহাড়ি ছাত্র ও স্থানীয় লোকজন মিলে ২১ সেপ্টেম্বর থেকে বাঘাইহাট - সাজেক জোনের বিভিন্ন স্থানে সড়কে গাছ, বৈদ্যুতিক খুঁটি, আড়াআড়িভাবে ট্রাক রেখে এবং টায়ার পুড়িয়ে রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী করে তোলে। সেনাবাহিনীর প্রচেষ্টায় ও স্থানীয়দের সহায়তায় ২৩ তারিখ রাত ও ২৪ সেপ্টেম্বর সকালে বিভিন্ন স্থানের বাধা অপসারণ করে সড়ক চলাচল উপযোগী করা হয়।
৩. ২০ সেপ্টেম্বর রাতে শুকনাছড়া ও উলুছড়া এলাকায় ছোট দুটি কালভার্টের লোহার পাটাতন দুর্বৃত্তরা সরিয়ে নিয়ে যায়, ফলে রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে পাটাতন পুনরায় স্থাপন করে সড়ক চলাচলের উপযোগী করা হয়।
৪. বাঘাইহাট জোনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং রিসোর্ট মালিক সমিতির সম্মতিতে সাজেকে আটকে পড়া পর্যটকদের রিসোর্টে থাকার ভাড়ার ৫০-৭৫ শতাংশ মওকুফ করা হয়।
৫. আজ ২৪ সেপ্টেম্বর সকাল ৬:৩০ এ রাস্তার সকল বাধা অপসারণের পর বাঘাইহাট জোনের তত্ত্বাবধানে সেনাবাহিনীর এসকর্ট সহায়তায় সাজেকে আটকে পড়া পর্যটকদের নিরাপদে সরিয়ে আনা হয়।
৬. মোট প্রায় ১৪০০ জন পর্যটক ২৪৪টি যানবাহন (১১২টি লোকাল জিপ, ১০৯টি বাইক ও ২৩টি সিএনজি) যোগে সেনাবাহিনী ও পুলিশ এসকর্ট সহায়তায় সাজেক থেকে ফিরে আসেন।