জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে বাংলাদেশের পতাকা। ছবি: এখন টিভি
সারি সারি পতাকার ভিড়ে মাথা উঁচু করে লাল সবুজের বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উড়ছে নিউইয়র্কের জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে। শতাধিক দেশের পতাকা আর নানা বর্ণের মানুষের আগমন জানান দিচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সম্মেলন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ অধিবেশনের।
যুক্তরাষ্ট্র সময় শুক্রবার সকাল ৯টায় শুরু হয়েছে ১০দিনব্যাপী এই বিশ্ব সম্মেলন। যেখানে বিশ্ব রাজনীতি, অর্থনীতি আর পরিবেশ নিয়ে বিশ্বনেতাদের মাঝে নানা আলাপ-আলোচনা আর দেন দরবার হওয়ার কথা। সম্মেলনের প্রথম দিন সকালে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে সংবাদ সম্মেলনে নিউইয়র্ক পুলিশ সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্নের কথা জানান। যেহেতু শতাধিক রাষ্ট্রপ্রধান এই সম্মেলনে অংশ নিতে নিউইয়র্ক আসছেন, তাই পুরো শহরকে নিরাপত্তা চাদরে ঢেকে দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
এবারের জাতিসংঘ সম্মেলনে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সম্মেলন ১০ দিনব্যাপী হলেও তিনি অংশ নেবেন ২৪ থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর, তিন দিন। সম্মেলনে বিভিন্ন আয়োজনের পাশাপাশি ড. ইউনূসের সঙ্গে পাকিস্তান, নেপাল, মালদ্বীপ, জার্মানি ও নেদারল্যান্ডসহ প্রায় ১০টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করার কথা রয়েছে। এছাড়া সফরে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও জাতিসংঘ মহাসচিবের সাথেও আলাদা বৈঠক করার কথা রয়েছে প্রধান উপদেষ্টার। অংশ নেবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানেও।
বাংলাদেশের সিনিয়র সাংবাদিক মনির হায়দারের মতে, এবারের জাতিসংঘ সম্মেলনে মর্যাদাশীল এক নতুন বাংলাদেশকে দেখবে বিশ্ব। তিনি জানান, জাতিসংঘে ড. ইউনূসের বক্তব্যে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুথানের পাশাপাশি গত দেড় দশকে আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের কথাও উঠে আসবে। এছাড়া বক্তব্যে উন্নত দেশগুলো কীভাবে বাংলাদেশে বড় বিনিয়োগ করতে পারে, তারও দিক নির্দেশনা থাকবে বলে মনে করেন তিনি।
মনির হায়দার বলেন, 'বাংলাদেশে নিপীড়ন, ভিন্নমত দমন একদম তলানিতে ছিল। এইবার বিশ্ববাসী বা বিশ্বনেতারা জানতে পারবেন যে, বাংলাদেশের সে অবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটেছে।'
আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ অধিবেশনে বক্তব্য দেয়ার কথা রয়েছে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের।