দেশে এখন
0

নিম্নচাপের প্রভাবে টানা বৃষ্টিতে দেশজুড়ে জলাবদ্ধতা

নিম্নচাপের প্রভাবে আজও কিছু জায়গায় থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। এতে জলাবদ্ধতা তৈরি হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে স্থানীয়দের। এছাড়া, কক্সবাজারে অতি বৃষ্টিতে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙনের ঝুঁকি। এখনও পানিবন্দি ২০ হাজার মানুষ। সাগর উত্তাল থাকায় নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছেন সমুদ্রগামী জেলেরা।

একদিকে দমকা হাওয়া সেই সঙ্গে মুষলধারে বৃষ্টি। সাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে গেল দুই দিন ধরে দেশের বিভিন্ন জেলায় অব্যাহত রয়েছে এই বৃষ্টিপাত। যাতে দুর্ভোগ বাড়ছে স্থানীয়দের মাঝে।

গত দুইদিন ধরে মাঝারি ও ভারি বৃষ্টিতে নাকাল বরিশালবাসী। জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে নগরীর বটতলা, মুন্সিগ্যারেজ, বগুড়া রোড, কালিবাড়ি রোডসহ বেশিরভাগ সড়কে। যাতে চলাচলে ভোগান্তি তৈরি হয়েছে স্থানীয়দের মাঝে। এদিকে বাড়ছে নদ-নদীর পানি। কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়ায় প্লাবিত হচ্ছে নিম্নাঞ্চল। এছাড়া বৈরী আবহাওয়ায় বন্ধ রয়েছে বরিশাল নদীবন্দর থেকে অভ্যন্তরীণ রুটের নৌ চলাচল।

ছবি: বরিশালে বৃষ্টিতে তৈরি জলাবদ্ধতা

বরিশালে একদিন বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা তৈরি হয়ে যায়। ফলে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। জরুরী প্রয়োজনে বের হলেও মুখোমুখি হতে হয় হাঁটু পানির, জানালেন বরিশালবাসী।

এদিকে, দুই দিনের রেকর্ড বৃষ্টির পর কক্সবাজারে বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কমে আসলেও পুরোপুরি থেমে যায়নি। এতে দীর্ঘ হচ্ছে দুর্ভোগ। এখনও প্লাবিত রয়েছে ৬টি উপজেলার বেশ কিছু এলাকা। পানিবন্দি ২০ হাজার মানুষ। এদিকে, বৃষ্টিতে তৈরি হয়েছে নদী ভাঙনের ঝুঁকি। রামুর দক্ষিণ মিঠাছড়ি এলাকার ৫টি গ্রামের ৩ শতাধিক পরিবার রয়েছে ভাঙনের ঝুঁকিতে। গত ৩ দিনে ১০টি বসতঘর ভেঙে বিলীন হয়েছে নদীগর্ভে। ভেঙ্গে গেছে ব্রিজ।

বৃষ্টিতে স্থবির হয়ে পড়েছে খুলনার জনজীবনও। জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে নগরীর খাজাহানয়ালী রোড, টুটপাড়া, কানিয়াখানাসহ নগরীর বেশ কিছু নিম্নাঞ্চলে। যাতে সড়কে কমেছে চলাচল। যারা বের হচ্ছেন তাদের গুণতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া।

ছবি: খুলনার বৃষ্টিতে তৈরি জলাবদ্ধতা

টানা তিনদিন ধরে বৃষ্টির কারণে তৈরি হয়েছে জলাবদ্ধতা। তাই ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে খুলনাবাসীকে।

উত্তাল বঙ্গোপসাগর, থেমে থেমে হচ্ছে ভারী বৃষ্টি, সেইসঙ্গে বইছে ঝড়ো হাওয়া। শনিবার বিকেল থেকে রোববার বেলা ১২টা পর্যন্ত যশোরে ১১২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। এতে কয়েকটি নিম্নাঞ্চল এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এ সকল এলাকায় দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা

রাত থেকে টানা বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া ভোলা, বরগুনা ও পটুয়াখালীর উপকূলজুড়ে। সাগরে ৩ নম্বর বিপদ সংকেত থাকায় তীরে ফিরতে শুরু করেছে মাছ ধরার ট্রলার। তবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে বেশ কিছু ট্রলারের সঙ্গে। এছাড়া বৃষ্টিতে পানি জমে নষ্ট হচ্ছে আমন ধানের বীজতলা। এদিকে টানা বৃষ্টিতে ঝালকাঠিতেও তৈরি হয়েছে জলাবদ্ধতা।

ছবি: পানিবন্দি রাঙামাটিবাসী

এছাড়া উজানের ঢলে বাড়ছে রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদের পানি। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে রাঙামাটি পৌর এলাকাসহ বাঘাইছড়ি ও লংগদু উপজেলার ৫ ইউনিয়ন ৯ হাজার মানুষ।