দেশে এখন
0

ভিড়-ভোগান্তি তবু ফিরছেই নগরবাসী

রোববারের রাত ফুরোলেই ঈদ। সে হিসাবে বাকি আছে একটি মাত্র দিন। শেষ মুহূর্তে পরিবারের সাথে ঈদ উদ্‌যাপন করতে তাই রাজধানী ছাড়ছেন নগরবাসী। ফলে ঈদযাত্রায় যাত্রীদের চাপ বেড়েছে রেলওয়ে, বাসস্ট্যান্ড কিংবা সদরঘাটের লঞ্চ টার্মিনালে। রয়েছে বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ।

শনিবার সকাল থেকেই সবগুলো টার্মিনালে দেখা যায় যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়। দুপুরে কিছুটা কম দেখা গেলেও বিকেলের পর তা আরও বৃদ্ধি পায়। মহাখালী বাস টার্মিনালে টিকিট কাটতে যাত্রীদের ঘন্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।

অনেকে টিকিট কেটেও বাসের অপেক্ষায় বসে ছিলেন দীর্ঘ সময়। অনেককে সরাসরি গাড়ি না পেয়ে বিভিন্ন স্থানে ভেঙে যাত্রা করতেও দেখা গেছে।

যাত্রীরা জানান, ভোগান্তির পরও গ্রামে গিয়ে প্রিয়জনদের সাথে ঈদ উদ্‌যাপন করাটাই লক্ষ্য। তবে বরাবরের মতো বাড়তি ভাড়া নেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে বাস কাউন্টারগুলো।

এদিকে ঈদযাত্রার চতুর্থ দিনে সন্ধ্যার পর থেকে ভিড় বাড়ে কমলাপুর ও বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনে। যাত্রীদের অভিযোগ ছিল সবগুলো ট্রেন ছাড়ছে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে।

ঈদের যেহেতু একদিন বাকি, তাই তো নাড়ির টানে শেষ সময়ে রেলস্টেশনে ব্যাপক ভিড় দেখা যায়। ঢাকা থেকে কিছুটা ফাঁকা ট্রেন বিমানবন্দরে আসার পরই হয়ে যাচ্ছে ভর্তি।

সিট না পেয়ে দাঁড়িয়েই যাচ্ছেন অনেকে। কষ্ট করে হলে ঈদযাত্রা করতে পেরে খুশি যাত্রীরা।

উত্তরবঙ্গগামী দু-একটি ট্রেনে ভিড় থাকলেও এদিন কমলাপুরে যাত্রী চাপ ছিল বেশ কম। প্রতিটি ট্রেন সময়মতো স্টেশন ছেড়ে যাওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেন যাত্রীরা। শেষ দিন পর্যন্ত ট্রেনের শিডিউল ঠিক রাখার প্রত্যাশা স্টেশন ম্যানেজারের।

শনিবার ৪৩টি আন্তঃনগরসহ মোট ৬৯টি ট্রেনে প্রায় দেড় লাখ মানুষ রেলপথে ঢাকা ছাড়বে বলে জানিয়েছে স্টেশন কর্তৃপক্ষ।

একই চিত্র দেখা যায় সদরঘাটের লঞ্চ টার্মিনালে। বিআইডাব্লিউটিএর ট্রাফিক বিভাগ জানিয়েছে, সদরঘাট থেকে ১৬০টির বেশি লঞ্চ একদিনে ছেড়ে যাওয়ার সক্ষমতা আছে। ১২০ টিরও বেশি প্রস্তুত আছে। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৬৮টি লঞ্চ ছেড়ে গেছে।

ট্রাফিক বিভাগ বলছে, কোনো লঞ্চ যাত্রী বেশি নিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া বেশি নেওয়ার অভিযোগ আসলেই তবেই ব্যবস্থা। যাত্রী চাপ স্বাভাবিক রয়েছে।

আসু