ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে ফ্রান্সে শতাধিক সাংবাদিকের বিক্ষোভ

আইফেল টাওয়ারের সামনে বিক্ষোভকারী সাংবাদিক
আইফেল টাওয়ারের সামনে বিক্ষোভকারী সাংবাদিক | ছবি: এখন টিভি
0

এবার ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের আইকনিক আইফেল টাওয়ারের সামনে জড়ো হয়ে ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ করেছেন শত শত সাংবাদিক। এসময় গাজায় ইসরাইলি হামলায় সহকর্মীদের নিহতের প্রতিবাদও জানায় তারা। একইসঙ্গে গাজায় সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিও জানান বিক্ষোভকারীরা।

ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের আইকনিক আইফেল টাওয়ারে উড়ছে ফিলিস্তিনের পতাকা। ইসরাইলি হামলায় গাজায় কর্মরত সাংবাদিক নিহতের প্রতিবাদে বুধবার (১৬ এপ্রিল) আইফেল টাওয়ারের সামনে জড়ো হন কয়েকশ' সাংবাদিক।

নিহত সহকর্মীর ছবি বুকে নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সেখানে অবস্থান করেন তারা। এ সময় সহকর্মী হত্যার বিচারের দাবিতে স্লোগানে স্লোগানে গর্জে ওঠেন বিক্ষোভকারীরা। একইসঙ্গে গাজার খবর বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরার অধিকার চান তারা। গাজায় শিগগিরই গণহত্যা বন্ধের দাবিও তোলেন আন্দোলনরত সাংবাদিকরা।

বিক্ষোভকারী সাংবাদিকদের মধ্যে একজন বলেন, 'ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাংবাদিকরা যেন গাজায় নিরাপদে অবস্থান করতে পারে সেই দাবি জানাচ্ছি। গাজার খবর গোটা বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে চাই।'

আরেকজন বলেন, 'গাজায় প্রায় প্রতিদিনই সাংবাদিকদের হত্যা করছে ইসরাইল। সহকর্মীদের এই মর্মান্তিক মৃত্যু দেখে ঘরে বসে থাকা সম্ভব নয়।'

আগ্রাসন শুরুর পর থেকেই গাজার সংবাদমাধ্যমগুলো বন্ধের চেষ্টা চালাচ্ছে ইসরাইলি প্রশাসন। চিত্র সাংবাদিক ও রিপোর্টারসহ এ পর্যন্ত দুই শতাধিক সাংবাদিক নিহত হয়েছেন আইডিএফের হামলায়। যাদের বেশিরভাগই ফিলিস্তিনের সাংবাদিক।

সাংবাদিকদের মধ্যে একজন বলেন, 'ইসরাইলি হত্যাযজ্ঞের ভিডিও ও ছবি তুলি আমরা। ফিলিস্তিনের মানবিক বিপর্যয় বিশ্বের কাছে তুলে ধরেছি। তাই সাধারণ ফিলিস্তিনিদের পাশাপাশি সাংবাদিকদেরও হত্যা করছে ইসরাইল।'

দিনশেষে রাতেও ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে আইফেল টাওয়ারে অবস্থান করেন কয়েকশ' বিক্ষোভকারী। এসময় আবেগঘন এক মুহূর্ত তৈরি হয় আইফেল টাওয়ারের পাদদেশে।

আসছে জুনে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। সামনের দিনগুলোতে ফ্রান্সের পাশাপাশি ইউরোপের আরও দেশ একই পথে হাঁটবে বলেও প্রত্যাশা বিক্ষোভকারীদের।

এসএইচ