এর আগে ভোররাত ৫টা থেকে একাধিক সড়ক দুর্ঘটনার কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপাড় হতে টাঙ্গাইল সদরের রাবনা বাইপাস পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার সড়ক জুড়ে থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হয়েছিল। এতে চরম বিপাকে পড়েছিল যাত্রী ও চালকরা।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ সাজেদুর রহমান বলেন, 'মধ্যরাত থেকে যানবাহনের চাপ বেড়ে গেছে এই মহাসড়কে। তাছাড়া মহাসড়কের বিভিন্ন জায়গায় একাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে কেউ মারা যায়নি। দুর্ঘটনা কবলিত যানবাহন সরিয়ে নিতে কিছুটা সময় লেগে যাওয়ায় ধীরগতিতে যানবাহন চলাচল করছে। মহাসড়কে পর্যাপ্ত পুলিশ কাজ করছে।'
বঙ্গবন্ধু সেতু সূত্র জানায়, বঙ্গবন্ধু সেতুতে ২৪ ঘণ্টায় ৪০ হাজার ৯০৬টি যানবাহন পারাপারের বিপরীতে টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ২১ লাখ ৯৭ হাজার ৩০০ টাকা টোল আদায় করা হয়েছে। স্বাভাবিক সময়ে ২৪ ঘণ্টায় ১৮ থেকে ২০ হাজার যানবাহন সেতু পারাপার হলেও ঈদ যাত্রাকে কেন্দ্র করে তা বাড়তে থাকে।
গত বুধবার (১২ জুন) রাত ১২টা থেকে বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) রাত ১২ টা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব প্রান্তে ২২ হাজার ৬৪৫ টি যানবাহন পারাপার হয়। এ থেকে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৫৮ লাখ ৮১ হাজার ৪০০ টাকা। সেতুর পশ্চিম প্রান্তে ১৮ হাজার ২৬১ টি যানবাহন থেকে ১ কোটি ৬৩ লাখ ১৫ হাজার ৯০০ টাকা টোল আদায় হয়েছে বলেও জানায় সেতু কর্তৃপক্ষ।
বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল বলেন, 'বিগত দিনের তুলনায় কোরবানির ঈদকে ঘিরে মহাসড়কে গরুবাহী ট্রাক, পিকআপ ও যাত্রীবাহী বাসের সংখ্যা বাড়ছে। এছাড়াও উত্তরবঙ্গ থেকে ফলবাহী ট্রাকের সংখ্যা বাড়ছে। যানবাহনের চাপ বাড়তে শুরু করলেও এখনও পর্যন্ত কোথাও কোনো যানজট নেই। স্বাভাবিক গতিতে যানবাহন চলাচল করছে।'