ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক। রাজধানীর সঙ্গে এ মহাসড়কটি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার সংযোগ স্থাপন করেছে। অর্থনৈতিকভাবেও মহাসড়কটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
তবে এ মহাসড়কটি দীর্ঘদিন ধরে জোড়াতালির সংস্কার দিয়ে চলছে। অতিরিক্ত মাটিবোঝাই ডাম্প ট্রাক ও পণ্যবাহী যান চলাচলে মানিকগঞ্জ অংশের বারবাড়িয়া থেকে আরিচা পর্যন্ত প্রায় ৩৬ কিলোমিটার অংশে অন্তত ১০টি পয়েন্ট ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। কোথাও কোথাও দেবে গেছে, কোথাও আবার সাময়িকভাবে সংস্কারের পর উঁচু হয়ে আছে।
চালকদের মধ্যে একজন বলেন, 'মহাসড়কের যে ভয়াবহ অবস্থা, এটাকে হাইওয়ে না বলে টিউমার রাস্তা বলি আমরা।'
সড়ক পরিবহন আইন অনুযায়ী যানবাহনে নির্ধারিত ওজনের বেশি পণ্য পরিবহণে তাৎক্ষণিক দণ্ডের বিধান থাকলেও বাস্তবে তার কোনও প্রতিফলন নেই।
সাধারণ মানুষদের একজন বলেন, 'এইরাস্তা উঁচু-নিচু থাকার কারণে এখানে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে।'
এদিকে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গেল ৫ আগস্ট ওজন স্টেশনটি ভাঙচুর করায় সেটি বিকল হয়ে পড়ে। এখনও মেরামত না করায় ওভারলোড যানবাহনের বিরুদ্ধে জরিমানা বন্ধ রয়েছে। তবে সড়ক ও জনপথ বিভাগ বলছে, মহাসড়কটির ১৮ কিলোমিটার অংশ সংস্কারে প্রকল্প নেয়া হয়েছে।
মানিকগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, 'রাস্তা মেরামতের জন্য জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত ৬ মাসের একটা কার্যনির্দেশনা দেয়া আছে। আশা করছি এই সময়ের মধ্যেই আমাদের কাজ শেষ হবে।'
মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন, 'বালু বা মাটি পরিবহনের ক্ষেত্রে সরকারি কিছু দিকনির্দেশনা আছে। এগুলো না মানলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করি।'
আইন না মানা, ওভারলোড মাটি ও বালু বহনকারী ট্রাকের দৌরাত্ম্য, সাথে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার তদারকির অভাবে প্রতিদিনই ধুকছে দেশের অন্যতম মহাসড়কটি। সংশ্লিষ্টদের দাবি দ্রুত আইন প্রয়োগ আর টেকসই মেরামত না হলে পুরোপুরি যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়বে।