সিলেটের উজানে অবস্থান ভারতের মেঘালয় ও আসাম রাজ্যের। উজান থেকে নেমে আসা ঢলে প্লাবিত সীমান্তবর্তী গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও জকিগঞ্জ উপজেলার নিম্নাঞ্চল।
জেলার এই ৫টি অঞ্চলের পর্যটন কেন্দ্র ওতপ্রোতভাবে পর্যটন খাতের সাথে জড়িত। পানিতে তলিয়ে যাওয়া পর্যটন কেন্দ্রের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সব পর্যটনকেন্দ্রই সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে। দূরদূরান্ত থেকে গিয়ে ফিরে যাচ্ছেন পর্যটকরা।
পর্যটকদের একজন বলেন, 'এখন তো পর্যটন স্পট বন্ধ একটু খারাপ লাগছে।'
আরেকজন বলেন, 'আকস্মিক বন্যা হওয়ায় আমরা এখানে এসে হতাশ হয়েছি।'
বন্যার পানিতেও তলিয়ে গেছে পর্যটন কেন্দ্রের অসংখ্য দোকান। থমথমে খেয়াঘাট, নেই কোলাহল। দোকানিরা বসে পার করছেন অলস সময়।
ব্যবসায়ীদের একজন বলেন, 'দোকানে অনেক আইটেম ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে পর্যটকদের জন্য অথচ পর্যটক নেই দোকানে বিক্রিও নেই।'
স্থানীয়রা বলছেন, সামগ্রিক ভাবেই আকস্মিক এই বন্যায় অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে পর্যটন খাত। পাহাড়ি ঢল যদি বন্ধ না হয় প্রচুর রাজস্ব হারানোর শঙ্কাও অমূলক নয়।
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুনজিত কুমার চন্দ বলেন, 'পাহাড়ি ঢল ও প্রবল স্রোতে মানুষের জীবনহানি হওয়ার ঝুঁকি ছিল। এইজন্য আমরা পর্যটন স্পটগুলোকে বন্ধ করে দিয়েছি।'
প্রাকৃতিক দুর্যোগ কাটলেই ঘুরে দাঁড়াবে সিলেটের পর্যটন শিল্প। নতুন করে সচল হবে ব্যবসা বাণিজ্য। এমনটাই প্রত্যাশা সবার।