সুগন্ধি চালকে বলা হয় উৎসব মুখি চাল। যেকোনো উৎসব এলে এর চাহিদা বাড়ে। তবে এবছর বাজারে সুগন্ধি চালের দাম একেবারে নিম্নমুখী।
নেত্রকোণায় অন্যান্য চালের মতোই প্রতিবছরই চিনিগুড়া, তুলসীমালা, ব্রি ধান ৩৪ও ৯০সহ সুগন্ধি চালের আবাদ হয়। তবে গত বছরের অক্টোবরে অর্থাৎ আমন মৌসুমে আকস্মিক বন্যায় ধানের ব্যাপক ক্ষতি হলেও জেলার দুর্গাপুর, কলমাকান্দা ও পূর্বধলায় সুগন্ধি ধানের ভালো ফলন হয়েছে। কৃষকরা বলছেন, সুগন্ধি ধান চাষে একদিকে খরচ হয় বেশি অন্যদিকে উৎপাদন হয় কম। তাই দাম ভাল না পেলে ক্ষতির মুখে পড়তে হয় তাদের।
মৌসুম শেষ হলেও জেলার অন্যতম ধানের পাইকারি বাজার দুর্গাপুরসহ অন্যান্য হাটগুলোতে মনপ্রতি সুগন্ধি ধানের সর্বোচ্চ বাজার উঠেছে ২১শ টাকা পর্যন্ত যা গেল বছর ছিল ৩ হাজার টাকা। কৃষকরা বলছেন, জমিতে এক মন ধান উৎপাদনে খরচ হয় ১৮শ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত। ফলে লোকসান জেনেও ধান বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, সুগন্ধি ধানের বাজারের নিয়ন্ত্রণ হয় বিভিন্ন কোম্পানির উপর। কোম্পানিগুলো বর্তমানে ধান সংগ্রহ বন্ধ রাখায় কমেছে দাম। এছাড়া জেলার বেশিরভাগ মিলে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে সুগন্ধি চালের। এই চাল দ্রুত রপ্তানি শুরু না হলে দাম যেমন আরো কমবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়িক নেতারা।
এদিকে জেলায় গেলো আমন মৌসুমে অভ্যন্তরীণ আমন সংগ্রহ অভিযান ২০২৪-২৫ শেষ হলেও সরকারি গুদামে ধান এসেছে অর্ধেক। সিদ্ধ কিংবা আতপ কোন চালেই লক্ষ্য পূরণ করতে পারেনি সরকারি খাদ্য গুদামগুলো। যদিও এ ব্যাপারে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হয়নি জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক।
ব্যবসায়ীদের তথ্য মতে, জেলায় আমন মৌসুমে অন্তত ৪শ টন সুগন্ধি ধানের উৎপাদন হয়। প্রতিমন ২ হাজার টাকা হলেও এক মৌসুমেই এর বাজার প্রায় ২১০ কোটি টাকা।