এ বছর ঈদুল ফিতরের সময় ২৪০টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৮৫ জনের প্রাণ গেছে। গত বছরের চেয়ে প্রায় ৪০ শতাংশ দুর্ঘটনা আর প্রাণহানি বেড়েছে ২০ শতাংশ। রোড সেফটি ফাউন্ডশেনের ই-তথ্যর তথ্য অনুযায়ী, মানবসম্পদের যে ক্ষতি হয়েছে তার আর্থিক মূল্য ১ হাজার ৩৩০ টাকা। গেল বছর ঈদ-উল-আযহার আগে ও পরে ১৫ দিনে তিন শতাধিক সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ শতাধিক প্রাণহানি হয়।
সামনে আবারও আসছে ঈদুল আজহা। কয়েকদিন পরেই সড়কে বাড়বে কোরবানির পশুবাহী পরিবহন। শুরু হবে ঈদযাত্রা। তাই সড়কে বাড়তি চাপ সামলাতে বরাবর হিমশিম খেতে হয় কর্তৃপক্ষের।
সব কথা মাথায় রেখে ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে প্রস্তুতি সভার আয়োজন করে বিআরটিএ। সভা শেষে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল সড়কে পশুর হাটের ইজারা না দেয়ার নির্দেশনা দেন। বিআরটিএর চিহ্নিত করা ২১৭টি হাট অন্য স্থানে সরিয়ে নেয়ার পরামর্শ তার।
তিনি বলেন, 'পলিটিক্সের নাম করে অনেকে ঝাঁকে ঝাঁকে যায়, এগুলো বন্ধ করতে হবে।'
দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ঈদ-উল-আযহার আগে ও পরে সমান নজরদারি রাখার কথা জানান তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ঈদের পর মনোযোগটা বেশি দিতে হবে। ঈদের পরই এক্সিডেন্টটা বেশি হয়।'
ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত মহাসড়ক দ্রুত ঠিক করার পাশাপাশি ১৩ দিন ফিলিং স্টেশন খোলা রাখার নির্দেশনাও দেয়া হয়।