মুন্সিগঞ্জে ইটভাটার কাজ শেষে নিজ নিজ বাড়ি ফিরছিলেন সবাই। কিন্তু বাড়ি ফেরার আগেই, হবিগঞ্জ মাধবপুরের বাখরনখর এলাকায় ঝরে গেল ৪টি প্রাণ।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩টার দিকে ইটভাটার কর্মীদের মালামালসহ ১৭ যাত্রী বহনকারী সিলেটগামী পিকআপের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় ঢাকামুখী ট্রাকের। এতে ঘটনাস্থলেই চারজন নিহত হন, যাদের তিনজনের বাড়ি হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে। দুর্ঘটনায় আহতদের উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাক ও পিকআপ জব্দ করে শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়।
শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানা হবিগঞ্জের অফিসার ইনচার্জ এটিএম মাহমুদুল হক বলেন, 'ট্রাক এবং পিক-আপ মুখোমুখী সংঘর্ষ হয়ে ঘটনাস্থলেই চারজন মারা যায়। এদের মধ্যৈ তিনজন একই পরিবারের এবং একজন হেল্পার।'
চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ মহাসড়কে বাসের ধাক্কায় ভ্যানের দুই যাত্রী নিহত হন। গুরুতর আহত হয় আরও একজন। ভোরে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নয়মাইল বাজারের পাশে এই দুর্ঘটনা ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
ময়মনসিংহের ভালুকা-গফরগাঁও সড়কের নন্দিবাড়ি বাজার এলাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় গুরুতর আহত হন সিএনজি অটোরিকশার চালকসহ চারজন। পরে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দুইজনের মৃত্যু হয়।
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় সিমেন্ট বোঝাই ট্রাকের সাথে মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে নিহত হয়েছে আরও দুই জন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করে।
এদিকে ঢাকা–মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে দুর্ঘটনায় একটি বাসের ছাদ উড়ে গেছে। তবে চালক বাসটি না থামিয়ে ছাদহীন অবস্থায় চালিয়ে নিয়ে যায় আরও অন্তত ১০ কিলোমিটার। পরে বাসযাত্রীদের চিৎকারে লৌহজংয়ের কুমারভোগ এলাকায় বাসটি থামায় স্থানীয়রা। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন বাসটির অন্তত ২০ জন যাত্রী। আহত যাত্রীদের উদ্ধার করে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এছাড়াও কুমিল্লা ও চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় আরও দুইজন নিহত হন।
