আজ (বুধবার, ৯ এপ্রিল) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।
প্রতিবছর ঈদে পরিবার পরিজনের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করতে রাজধানী ছেড়ে যায় লাখো মানুষ। তবে যাত্রাপথে সড়ক দুর্ঘটনায় এই আনন্দ পরিণত হয় বিষাদে।
সম্প্রতি চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের একটি সড়ক দুর্ঘটনায় বাস ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। যার মাঝে পাঁচজনই একই পরিবারের।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে যাত্রী কল্যাণ সমিতির সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির মহাসচিব জানান, বরাবরের মতো এবারও দুর্ঘটনার শীর্ষে রয়েছে মোটরসাইকেল।
এবারের ঈদে ১৩৫টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৫১ জন নিহত হয়েছেন, যা মোট সড়ক দুর্ঘটনার ৪২ দশমিক ৮৫ শতাংশ।
তবে বিগত ঈদের তুলনায় সড়ক দুর্ঘটনা কমেছে সাড়ে ২১ ভাগ। পাশাপাশি কমেছে নিহত ও আহতের হারও। তবে এবারের ঈদে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও পথে পথে যাত্রী হয়রানি চরমে পৌঁছেছিল বলেও জানান তিনি।
এসময় মহাসচিব এবার ঈদ যাত্রা বিগত বছরের থেকে কিছুটা স্বস্তিদায়ক ছিল উল্লেখ করে বলেন, ‘এ বছরের মতো সড়কে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সরব থাকলে কমে আসবে সড়ক দুর্ঘটনা।’
এ সময় সংগঠনটি দুর্ঘটনা প্রতিরোধে মোটরসাইকেল ও ব্যাটারিচালিত রিকশা আমদানি ও নিবন্ধন বন্ধসহ বেশকিছু সুপারিশ তুলে ধরে।