ভোরে বান্দরবান ও চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহারগুলোতে সমবেত হন বুদ্ধের অনুসারীরা। পরে স্নান ও পূজা-আর্চনাসহ প্রার্থনায় অংশ নেন তারা। এসময় বুদ্ধের সম্মানে ফুল-ফল উৎসর্গ করা হয়। ধর্মীয় রীতি মেনে নানা কার্যক্রমে অংশ নেন বৌদ্ধ সন্নাসীরা। অষ্টশীল ও পঞ্চশীলে শপথ করেন তারা।
এসময় অহিংস পৃথিবীর গড়তে সবাইকে বুদ্ধের শিক্ষাগ্রহণের আহ্বান জানানো হয়। পরে চট্টগ্রাম নগরীর নন্দন কানন বৌদ্ধ বিহার থেকে আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ঘুরে আবারও সেখানে গিয়ে শেষ হয়। এতে ঐতিহ্যবাহী নানা সাজ-পোশাকে বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীসহ ৭০টি সংগঠন অংশ নেয়।
আরো পড়ুন:
বৈশাখ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে দিনটি উৎযাপন করা হয় বলে একে বৈশাখী পূর্ণিমাও বলা হয়ে থাকে। গৌতম বুদ্ধের জন্ম বোধি লাভ ও মহাপরিনির্বান লাভের ত্রিস্মৃতি বিজরিত এ দিনটিকে বৌদ্ধরা স্মরন করেন নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে।
বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে আজ সকালে বিহার প্রাঙ্গন থেকে একটি র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি শহরের বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে বিহার প্রাঙ্গনে এসে শেষ হয়।
আরো পড়ুন:
এছাড়াও সকাল থেকে বিহারে বিহারে ছোয়াইং দান বোধি বৃক্ষে জল সিঞ্চন মোমবাতি প্রজ্বলন ও প্রার্থনার মধ্য দিয়ে যুবক-যুবতী, শিশু-বৃদ্ধ, নারী-পুরুষসহ সকল বৌদ্ধ ধর্মালম্বীরা প্রার্থনার মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপন করছেন।
গৌতম বুদ্ধের জন্মের এ দিনটি বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ন বলে জানান বৌদ্ধ ভিক্ষু নন্দশ্রী।