১০ম গ্রেডে উন্নীত প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা; এখন বেতন পাবেন কত টাকা?

প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকদের বেতন ও মর্যাদা বৃদ্ধি! অবশেষে ১০ম গ্রেডের প্রজ্ঞাপন জারি করল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকদের বেতন ও মর্যাদা বৃদ্ধি! অবশেষে ১০ম গ্রেডের প্রজ্ঞাপন জারি করল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। | ছবি: এখন টিভি
0

দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষা ও আইনি লড়াই শেষে অবশেষে দেশের ৬৫ হাজার ৫০২ জন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের (Primary Head Teacher) বেতন গ্রেড এক ধাপ বাড়িয়ে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করা হয়েছে। গত (মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় (Ministry of Primary and Mass Education) এ সংক্রান্ত ঐতিহাসিক প্রজ্ঞাপনটি প্রকাশ করেছে। এর ফলে তারা এখন থেকে দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তার (2nd Class Gazetted Officer) পদমর্যাদা ও সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

একনজরে: প্রাথমিক প্রধান শিক্ষকদের নতুন বেতন ও পদমর্যাদা

  • নতুন বেতন গ্রেড: ১০ম গ্রেড (10th Grade)।
  • পূর্বের বেতন গ্রেড: ১১তম গ্রেড (11th Grade)।
  • নতুন পদমর্যাদা: ২য় শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা (2nd Class Gazetted Officer)।
  • নতুন মূল বেতন (Basic): ১৬,০০০/- টাকা থেকে ৩৮,৬৪০/- টাকা।
  • পূর্বের মূল বেতন (Basic): ১২,৫০০/- টাকা থেকে ৩০,২৩০/- টাকা।
  • সুবিধাভোগী শিক্ষকের সংখ্যা: ৬৫,৫০২ জন।
  • প্রজ্ঞাপন জারির তারিখ: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ (প্রকাশিত: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫)।
  • কার্যকর হওয়ার সময়: প্রজ্ঞাপন জারির তারিখ হতেই এটি কার্যকর।

আরও পড়ুন:

বেতন স্কেলের আমূল পরিবর্তন (New Salary Scale Breakdown)

মন্ত্রণালয়ের বিদ্যালয়-২ শাখা থেকে জারি করা এই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালের জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী প্রধান শিক্ষকদের বিদ্যমান ১১তম গ্রেডকে এখন থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করা হলো। এর ফলে আর্থিক সুবিধাগুলোতে যে পরিবর্তন আসবে:

  • আগের বেতন স্কেল (১১তম গ্রেড): ১২,৫০০ টাকা থেকে ৩০,২৩০ টাকা পর্যন্ত।
  • বর্তমান বেতন স্কেল (১০ম গ্রেড): ১৬,০০০ টাকা থেকে শুরু হয়ে সর্বোচ্চ ৩৮,৬৪০ টাকা পর্যন্ত (Basic Salary Scale: 16,000 - 38,640 BDT)।

এই আদেশের ফলে একজন নতুন প্রধান শিক্ষকের মূল বেতন একলাফে ৩,৫০০ টাকা বৃদ্ধি পাবে। এর সঙ্গে বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও নতুন গ্রেড অনুযায়ী বাড়বে।

প্রাথমিক প্রধান শিক্ষকদের জন্য বড় খবর! ১০ম গ্রেডের স্বপ্ন এখন সত্যি। |ছবি: এখন টিভি

দীর্ঘ আইনি লড়াই ও চূড়ান্ত বিজয় (Legal History & Approval)

প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড ও গেজেটেড পদমর্যাদা প্রদানের বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ আদালতের রায়ের অপেক্ষায় আটকে ছিল। গত ২৮ অক্টোবর প্রথমে রিট আবেদনকারী ৪৫ জন শিক্ষকের বেতন বৃদ্ধির মাধ্যমে এই প্রক্রিয়ার সূচনা হয়। পরবর্তীতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় (Ministry of Public Administration) এবং অর্থ বিভাগের (Finance Division) ব্যয় ব্যবস্থাপনা অনুবিভাগের চূড়ান্ত সম্মতির পর আজ সব প্রধান শিক্ষকের জন্য এই সুখবর এলো। প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটিও এই প্রস্তাবে পূর্ণ অনুমোদন দিয়েছে।

প্রজ্ঞাপন জারির তারিখ থেকেই এই নতুন বেতন স্কেল কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে, যা দেশের প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় নিয়োজিত শিক্ষকদের মনে দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত ক্ষোভ প্রশমিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন:

সহকারী শিক্ষকদের বেতন ও আন্দোলনের বর্তমান অবস্থা (Assistant Teachers Update)

বর্তমানে দেশের ৬৫,৫৬৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত প্রায় পৌনে চার লাখ শিক্ষকের মধ্যে সিংহভাগই সহকারী শিক্ষক। তারা বর্তমানে জাতীয় বেতন স্কেলের ১৩তম গ্রেডে (13th Grade) রয়েছেন, যেখানে শুরুর মূল বেতন ১১,০০০ টাকা। সহকারী শিক্ষকেরা তাদের বেতন গ্রেড আপাতত ১১তম করাসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন।

এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে যে, সহকারী শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধির প্রস্তাবটি ইতোমধ্যে জাতীয় বেতন কমিশনে (National Pay Commission) পাঠানো হয়েছে। কমিশনের চূড়ান্ত সুপারিশ পাওয়ার পর অর্থ বিভাগ এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করবে।

এখন থেকে প্রধান শিক্ষকরা পাবেন ২য় শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তার মর্যাদা। মূল বেতন শুরু হবে ১৬,০০০ টাকা থেকে। |ছবি: এখন টিভি

একনজরে প্রাথমিক শিক্ষার পরিসংখ্যান (Primary Education Statistics)

  • মোট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়: ৬৫,৫৬৯টি।
  • প্রধান শিক্ষকের পদ: ৬৫,৫০২টি।
  • সহকারী শিক্ষকের অনুমোদিত পদ: ৩,৬৯,২১৬টি।
  • বর্তমানে কর্মরত সহকারী শিক্ষক: ৩,৫২,২০৮ জন।
  • মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা: ১ কোটিরও বেশি।

আরও পড়ুন:

১০ম গ্রেডে প্রধান শিক্ষকের মাসিক বেতনের হিসাব (সম্ভাব্য)

একজন নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত বা সদ্য ১০ম গ্রেডে উন্নীত হওয়া প্রধান শিক্ষকের ক্ষেত্রে হিসাবটি এমন হতে পারে:

বেতনের খাত (Salary Heads)১১তম গ্রেড (পূর্বের)১০ম গ্রেড (বর্তমান)পার্থক্যের পরিমাণ
মূল বেতন (Basic Salary)১২,৫০০/-১৬,০০০/-+ ৩,৫০০/-
বাড়ি ভাড়া (House Rent - ৪৫%)৫,৬২৫/-৭,২০০/-+ ১,৫৭৫/-
চিকিৎসা ভাতা (Medical Allowance)১,৫০০/-১,৫০০/-(অপরিবর্তিত)
টিফিন ভাতা (Tiffin Allowance)২০০/-২০০/-(অপরিবর্তিত)
মোট মাসিক বেতন (Gross Salary)১৯,৮২৫/-২৪,৯০০/-+ ৫,০৭৫/-

আরও পড়ুন:

গুরুত্বপূর্ণ নোট:

১. বাড়ি ভাড়া (House Rent): এটি কর্মস্থলের অবস্থানের ওপর নির্ভর করে। ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের জন্য মূল বেতনের ৬০%, চট্টগ্রাম/অন্যান্য সিটি কর্পোরেশনের জন্য ৫০% এবং জেলা/উপজেলার জন্য ৪৫% হারে বাড়ি ভাড়া হিসাব করা হয়। উপরের হিসেবে ৪৫% তুলে ধরা হয়েছে।

২. ইনক্রিমেন্ট (Increment): যাদের চাকরির বয়স বেশি, তারা বর্তমান বেতন অনুযায়ী ইনক্রিমেন্ট পেয়ে ধাপে ধাপে আরও বেশি মূল বেতন পাবেন।

৩. কর্তন (Deductions): মোট বেতন থেকে সাধারণত কল্যাণ তহবিল ও ভবিষ্যৎ তহবিলের (GPF) জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা কর্তন করা হয়, যা অবসরের সময় পাওয়া যায়।

১০ম গ্রেড পাওয়ার পর প্রধান শিক্ষকরা আসলে কত টাকা বেতন পাবেন? |ছবি: এখন টিভি

১০ম গ্রেড বনাম ১১তম গ্রেড: তুলনামূলক পার্থক্য

ফিচারের নাম (Features)১১তম গ্রেড (পূর্বের অবস্থা)১০ম গ্রেড (বর্তমান অবস্থা)
পদমর্যাদা (Status)৩য় শ্রেণি (Class III)২য় শ্রেণি গেজেটেড (2nd Class Gazetted)
মূল বেতন (Basic Salary)"১২,৫০০/- থেকে ৩০,২৩০/-""১৬,০০০/- থেকে ৩৮,৬৪০/-"
বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট (Increment)মূল বেতনের ধাপ অনুযায়ীমূল বেতনের ধাপ অনুযায়ী (অংক বড় হবে)
বাড়ি ভাড়া (House Rent)মূল বেতনের ৪৫% - ৬০% (কম ছিল)মূল বেতনের ৪৫% - ৬০% (বেশি হবে)
পেনশন ও গ্র্যাচুইটিকম মূল বেতনের ভিত্তিতে হিসাববেশি মূল বেতনের ভিত্তিতে বড় অংক
সামাজিক মর্যাদানন-গেজেটেড কর্মচারীগেজেটেড কর্মকর্তা (ক্ষমতা ও সম্মান বৃদ্ধি)
অফিসিয়াল ক্ষমতাসীমিত প্রশাসনিক ক্ষমতাগেজেটেড কর্মকর্তা হিসেবে প্রত্যয়নের ক্ষমতা
লোন সুবিধা (Loan)কম সিলিং (Ceiling)বেশি অংকের হাউস বিল্ডিং লন সুবিধা

আরও পড়ুন:

সহকারী শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধির সম্ভাব্য হিসাব (১৩তম বনাম ১১তম গ্রেড)

বেতনের খাত (Salary Heads)১৩তম গ্রেড (বর্তমান)১১তম গ্রেড (দাবিকৃত)পার্থক্যের পরিমাণ
মূল বেতন (Basic Salary)"১১,০০০/-""১২,৫০০/-"+ ১,৫০০/-
বাড়ি ভাড়া (House Rent - ৪৫%)৪,৯৫০/-৫,৬২৫/-+ ৬৭৫/-
চিকিৎসা ভাতা (Medical Allowance)১,৫০০/-১,৫০০/-(অপরিবর্তিত)
টিফিন ভাতা (Tiffin Allowance)২০০/-২০০/-(অপরিবর্তিত)
মোট মাসিক বেতন (Gross Salary)১৭,৬৫০/-১৯,৮২৫/-+ ২,১৭৫/-

অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান! সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতন গ্রেড ও পদমর্যাদা বৃদ্ধি পেয়েছে। |ছবি: এখন টিভি

জাতীয় বেতন কমিশনের সর্বশেষ পরিস্থিতি (Latest Status)

বর্তমানে বাংলাদেশে ২০১৫ সালের অষ্টম জাতীয় বেতন স্কেল কার্যকর রয়েছে। দীর্ঘ ১০ বছর পর নতুন একটি বেতন স্কেলের জন্য সরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যে জোরালো দাবি থাকলেও, সরকারের বর্তমান অবস্থান নিম্নরূপ:

১. সহকারী শিক্ষকদের প্রস্তাব কমিশনে: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড ১৩তম থেকে ১১তম গ্রেডে উন্নীত করার একটি আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব জাতীয় বেতন কমিশনে পাঠানো হয়েছে। এটি বর্তমানে কমিশনের পর্যালোচনায় রয়েছে।

আরও পড়ুন:

২. নতুন পে-কমিশনের সম্ভাবনা: সরকার সাধারণত প্রতি ৫-১০ বছর পর পর নতুন পে-কমিশন গঠন করে। ২০২৫ সাল যেহেতু অষ্টম পে-স্কেলের ১০ বছর পূর্ণ করছে, তাই নতুন একটি নবম জাতীয় বেতন স্কেল গঠনের জন্য বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে বলে জানা গেছে।

৩. মূল্যস্ফীতি সমন্বয় (Inflation Adjustment): নতুন পে-কমিশন পূর্ণাঙ্গভাবে কার্যকর হওয়ার আগে, জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির সাথে সামঞ্জস্য রেখে সরকার ৫% বা তার বেশি হারে বিশেষ ইনক্রিমেন্ট (Special Increment) বা মহার্ঘ ভাতার কথা বিবেচনা করছে।

আরও পড়ুন:

সহকারী শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধির পরবর্তী ধাপ ও বর্তমান অবস্থা

প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১০ম গ্রেডে উন্নীত হওয়ার পর সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডের দাবি এখন আরও জোরালো হয়েছে। এর বাস্তবায়নে পরবর্তী ধাপগুলো নিম্নরূপ:

১. জাতীয় বেতন কমিশনের সুপারিশ (National Pay Commission Recommendation): সহকারী শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধির ফাইলটি বর্তমানে জাতীয় বেতন কমিশনের টেবিলে রয়েছে। কমিশনের কাজ হলো—গ্রেড পরিবর্তন করলে সরকারের বার্ষিক কত টাকা অতিরিক্ত ব্যয় হবে এবং অন্যান্য পদের সাথে কোনো বৈষম্য তৈরি হবে কি না তা যাচাই করা। তাদের ইতিবাচক সুপারিশই হবে পরবর্তী প্রধান ধাপ।

২. অর্থ মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত অনুমোদন (Finance Ministry Approval): বেতন কমিশন সবুজ সংকেত দিলে ফাইলটি যাবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যয় ব্যবস্থাপনা অনুবিভাগে। যেহেতু এটি একটি বড় আর্থিক সংশ্লেষের বিষয়, তাই অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে বাজেট বরাদ্দ নিশ্চিত হলেই কেবল প্রজ্ঞাপন জারির পথ পরিষ্কার হবে।

৩. সচিব কমিটির প্রশাসনিক অনুমোদন (Administrative Approval): বেতন বৃদ্ধির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটি এর আইনি ও প্রশাসনিক দিকগুলো পর্যালোচনা করবে। প্রধান শিক্ষকদের ক্ষেত্রেও এই কমিটি সর্বশেষ ধাপ হিসেবে কাজ করেছিল।

৪. নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন (Recruitment Rules Amendment): সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড (যা উচ্চতর গ্রেড হিসেবে গণ্য) পেতে হলে অনেক সময় নিয়োগ বিধিমালায় শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়টিও সমন্বয় করতে হয়। বর্তমানে স্নাতক পাস যোগ্যতা থাকায় এই ধাপটি সহজতর হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মন্ত্রণালয়ের লোগো |ছবি: এখন টিভি

প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার এই সিদ্ধান্ত দেশের প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য একটি মাইলফলক। দীর্ঘ আইনি লড়াই এবং প্রশাসনিক জটিলতা কাটিয়ে এই অর্জন শিক্ষকদের সামাজিক ও আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। তবে প্রধান শিক্ষকদের এই সাফল্যের পর এখন সবার নজর সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড বাস্তবায়নের দিকে।

শিক্ষা সংশ্লিষ্ট বিশ্লেষকদের মতে, প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষকদের জীবনযাত্রার মান নিশ্চিত করা অপরিহার্য। সহকারী শিক্ষকদের দাবিটি যদি দ্রুত জাতীয় বেতন কমিশনের মাধ্যমে অনুমোদিত হয়, তবে দেশের প্রাথমিক শিক্ষা খাতে এক নতুন উদ্দীপনার সৃষ্টি হবে। আপাতত প্রধান শিক্ষকদের এই বিজয়কে প্রাথমিক শিক্ষার সামগ্রিক সংস্কারের প্রথম ধাপ হিসেবেই দেখা হচ্ছে।

আরও পড়ুন:

এসআর