দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে বিবৃতিটি প্রকাশ করা হয়েছে। বিবৃতিতে ভারতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের ঘটনায় বাংলাদেশের তরফ থেকে যে বক্তব্য এসেছে, তা আমরা প্রত্যাখ্যান করছি।’
গত ৮ এপ্রিল পশ্চিমবঙ্গের সহিংসতার ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছিলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের সংখ্যালঘু মুসলিমদের সুরক্ষা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আমরা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার ও ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’

তার এ মন্তব্যকে অযৌক্তিক দাবি করে বিবৃতি দিয়েছে ভারতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সেখানে বলা হয়, ‘বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর চলমান নির্যাতনের বিষয়ে ভারতের উদ্বেগের সাথে তুলনা করার জন্য এটি একটি ছদ্মবেশী এবং ছলনাপূর্ণ প্রচেষ্টা, যেখানে এ ধরনের অপরাধের জন্য দায়ীরা এখনো মুক্তভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অযৌক্তিক মন্তব্য করা এবং সদ্গুণের পরামর্শ প্রদানের পরিবর্তে বাংলাদেশ যদি তার নিজস্ব সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষার দিকে মনোনিবেশ করে, তাহলে আরো ভালো করবে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ২ এপ্রিল ভারতের পার্লামেন্টের নিম্ন কক্ষ লোকসভা এবং পরের দিন উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় ‘সংশোধিত ওয়াকফ বিল, ২০২৫’ পাস হয়। এর তিনদিন পর ৫ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর স্বাক্ষরের মধ্যে দিয়ে আইনে পরিণত হয় সেই বিল এবং ৮ এপ্রিল তা কার্যকর হয়।
আইন কার্যকর হওয়ার পরপরই ভারতের রাজধানী দিল্লি, পশ্চিমবঙ্গ, মণিপুরসহ বিভিন্ন রাজ্যে বিক্ষোভ শুরু করেন মুসলিমরা ও বিজেপিবিরোধী বিভিন্ন দলের নেতৃবৃন্দ। সবচেয়ে বেশি বিক্ষোভ হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। বিক্ষোভ ঘিরে রাজ্যের মুর্শিদাবাদ, মালদহ, নদীয়াসহ বিভিন্ন জেলা রণক্ষেত্রে রূপ নিয়েছিল ।