সিন্ডিকেটমুক্ত সন্দ্বীপ নৌরুট, ভাড়া কমেছে ৩৫ শতাংশ

0

সিন্ডিকেটমুক্ত হলো সন্দ্বীপ নৌরুট। বিআইডব্লিউটিএ এককভাবে ঘাট পরিচালনার দায়িত্ব নেয়ায় যাত্রীদের ভোগান্তি কমেছে পাশাপাশি নৌরুটে ভাড়া কমেছে ৩৫ শতাংশ। এদিকে আগামী মাসেই এ রুটে চালু হচ্ছে ফেরি সার্ভিস। এতে সন্দ্বীপের কৃষি, মৎসসহ অর্থনীতি, বাণিজ্য ও স্বাস্থ্যখাতে আসবে নতুন গতি।

চট্টগ্রামের মূল ভাগ থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপ। বন্দরনগরী থেকে সন্দ্বীপে আসা যাওয়ার একমাত্র নৌপথ এটি। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ নৌঘাট পরিচালনা করে আসছিল। তবে দীর্ঘদিনের অভিযোগ, এ নৌ রুটে গলাকাটা ভাড়া আদায়ের পাশাপাশি ফিটনেসবিহীন নৌযানে পারাপার করা হয় যাত্রীদের। ফলে ভোগান্তির পাশাপাশি বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় অর্ধশত যাত্রীর।

৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর সন্দীপের মানুষের দাবির মুখে এ নৌপথ পরিচালনার দায়িত্ব পায় বিআইডব্লিউটিএ। সন্দ্বীপ–চট্টগ্রাম নৌরুটে স্পিডবোটের ভাড়া নির্ধারণ করা হয় ২৫০ টাকা। আর সার্ভিস, মালের বোট ও স্টিমারের ভাড়া ১২০ টাকা। যা পূর্বের ভাড়ার চাইতে ৩৫ শতাংশ কম। পাশাপাশি বেড়েছে নৌযানের সংখ্যাও।

একজন পর্যটক বলেন, 'কয়েকযুগ ধরে মানুষ খুব কষ্ট করেছে। দুর্ভোগের শিকার, হয়রানির শিকার হয়েছে, আমাদের অর্থের অপচয় হয়েছে।'

আজ (মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি) বিআইডব্লিউটিএর ঘাট পরিচালনার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন নৌ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ। সন্দীপের এই নৌরুট সিন্ডিকেট মুক্ত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা বলেন, 'ফেরি চলাচলের জন্য অর্ডার অলরেডি হয়ে গিয়েছে। ফেরির কাজও চলছে। আমরা আশা করছি এই বছরের আগস্ট-সেপ্টেম্বরে সব পেয়ে যাবো।'

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, 'বোট বা লঞ্চের জন্য যে ভাড়া, সেটা কিন্তু কখনোই নির্ধারিত থাকার কথা না। এখানেও সে সিস্টেমটা আমরা স্টাবলিশ করলাম। এটা আগে ছিল না, সিন্ডিকেটের মধ্যে ছিল। এখন ভাড়াটা মালিক তুলবে। আমরা শুধু এন্ট্রি ফি নিবো।'

চলতি বছরের মার্চ থেকে চট্টগ্রাম-সন্দীপ নৌ-রুটে চালু হচ্ছ ফেরি সার্ভিস। এতে সন্দ্বীপের কৃষি, মৎসসহ অর্থনীতি, বাণিজ্য ও স্বাস্থ্যখাতে আসবে নতুন গতি। ঘুরে দাঁড়াবে পর্যটন খাত প্রত্যাশা স্থানীয়দের।

এসএস