দেশে এখন
বাজার
0

রমজানের আগে পণ্যের দাম বাড়ছে সিলেটে

সিলেট

রমজানের ঠিক আগে সিলেটের ভোগ্যপণ্যের বাজারে পণ্যের দরদাম বাড়ছে। ছোলা, পেঁয়াজ, চিনি, খেজুর, ডালসহ অনেক পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। দাম বাড়ার কারণ হিসেবে সরবরাহ কমের অজুহাত দেখাচ্ছেন বিক্রেতারা।

রমজানের বাকি আর মাত্র ৩-৪ দিন। এ অবস্থায় প্রতিদিন বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। বাড়তে শুরু করেছে চাল, ডাল, ছোলাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম।

এক সপ্তাহ আগে যে দেশি পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকায়। আর আমদানি করা পেঁয়াজের দাম বাজার ভেদে ১২৫ থেকে ১৩০ টাকায়। এভাবে রমজান উপলক্ষে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়া যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে সিলেটের বাজারে। তেল, আদা, রসুনেও কেজিতে ৫-৮ টাকা বেড়েছে। চিনির দামের পাশাপাশি বেড়েছে চালের দামও। এমন অস্বাভাবিকভাবে দাম বাড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ক্রেতারা।

ক্রেতারা বলেন, 'রমজানের আগেই যদি জিনিসের এমন দাম থাকে তাহলে রমজানে আমাদের চলাটা অনেক কঠিন হয়ে যাবে। দামের অনেক অনেক বেশি।'

সিলেটের বাজারে গত সপ্তাহে চিনি বিক্রি হয়েছে ১২০ টাকায়, যা এখন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা। দেশি পেঁয়াজ ৮০ টাকা আর চলতি সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকা ।

আমদানিকৃত পেঁয়াজ গত সপ্তাহে ১২০ টাকা করে বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা। খুচরা বাজারে চালের দামও বেড়েছে বস্তা প্রতি ১০০-১৫০ টাকা হারে। আর ছোলা এতদিন ৮০-৮৫ টাকা করে বিক্রি হলেও এখন বাজারে শতকের ঘর ছুঁয়েছে। ঠিক একইভাবে বেড়েছে বিভিন্ন জাতের ডালের দাম। কেজিপ্রতি বৃদ্ধির হার ৮-১০ টাকা। আর তেলের দাম লিটারে বেড়েছে ২-৩ টাকা হারে।

এসব পণ্যের দাম বৃদ্ধি নিয়ে বিক্রেতাদের অজুহাতের শেষ নেই। তারা বলছেন পাইকারী বাজারে দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়েছে।

বিক্রেতারা বলেন, 'চালের দাম বাড়ছে। এখন চৈত্র মাস, শেষ মৌসুম তাই সবসময় বাড়ে। শুনেছিলাম তেল প্রতিলিটারে ১০ টাকা করে কমবে কিন্তু বাজারে এর প্রভাব নেই। সিন্ডিকেট আর সংকট তাই দাম কমছে না।'

পণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে প্রশাসনিক তদারকি বাড়ানোর জোর দাবি ক্রেতাদের।

এভিএস

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর