সবজির দাম নিয়ে গেল তিন থেকে চার মাস ক্রেতাদের মাঝে স্বস্তি থাকলেও আবারও লাগামহীন বাজার। কোন সবজি মিলছে না ৬০ টাকা কেজির নিচে।
সাপ্তাহিক ছুটির দিনে সিলেটের বাজারে একদিকে বেড়েছে ক্রেতার ভিড় অন্যদিকে রয়েছে সরবরাহ সংকট। প্রতিটি সবজি কিনতে গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা।
পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি ঝিঙ্গা ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হলেও খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। আর কাঁকরোল কিনতে গুনতে হচ্ছে ১২০ টাকা।
এছাড়া ৭০ টাকার উপরে বিক্রি হচ্ছে পটল, ঢেঁড়স, করলা, বরবটিসহ বিভিন্ন সবজি। এছাড়া টমেটো এক সপ্তাহ আগে ৫০ টাকা হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি দরে।
বিক্রেতারা বলছেন, শীতের সবজির মৌসুম শেষ হয়ে গ্রীষ্মের মৌসুম শুরু হয়েছে। বাজারে কমেছে সরবরাহ।
এছাড়া উর্ধ্বমুখী পেঁয়াজ, রসুন ও কাঁচা মরিচের দাম। গত সপ্তাহে মেহেরপুরের বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হলেও এখন তা ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। রসুন ১২০ টাকা কেজি আর কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে ৫০ টাকা।
ক্রেতাদের মধ্যে একজন বলেন, 'এখন বাজার করতে গেলে ২০০০ টাকার নিচে বাজার করা যায় না।'
সবজির বাজার ঘুরে ক্রেতা যখন চালের বাজারে, স্বস্তি নেই সেখানেও। সপ্তাহের ব্যবধানে বগুড়ার বাজারে কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা বেড়েছে সব ধরনের চালের দাম। বর্তমানে কাটারি ৭৮ টাকা, আটাশ ৬৪ টাকা ও রঞ্জিত চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৬ টাকা কেজি দরে।
বিক্রেতারা বলছেন, আমন ধানের মৌসুম শেষ হওয়ায় বাজারে তৈরি হয়েছে চালের সংকট। তবে বোরো ধান বাজারে আসতে শুরু করলে দাম কিছুটা কমবে বলছেন তারা।
বিক্রেতাদের মধ্যে একজন বলেন, 'প্রতিটি চালের দামে ২ থেকে ৩ টাকা বাড়তি। বিশেষ করে এলসি ঢুকতো, সেটা ১৫ তারিখ থেকে বন্ধ হওয়ার পর থেকে চালের দাম ঊর্ধ্বগতিতে আছে।'
ক্রেতার জন্য সুখবর নেই মাছের বাজারেও। সমুদ্রে মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞায় বাজারে কমেছে সরবরাহ। সপ্তাহের ব্যবধানে ২০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে মাছের দাম।
ঝালকাঠির মাছের বাজারে গেল সপ্তাহে রুই ৩২০ টাকায় বিক্রি হলেও আজকের বাজারে তা ২৩০ টাকা। এছাড়া ২০০ টাকায় বিক্রি হওয়া পাঙাস মাছের দাম ২২০ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত। আর চাষের শিং মাছ মিলছে ৪শ থেকে ৪৫০ টাকায়।
তবে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে মাংসের বাজারে। ব্রয়লার মুরগি ৩০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায়। আর লেয়ার মিলছে ৩০০ টাকায়। এছাড়া স্থিতিশীল গরু ও খাসির মাংসের দামও।