পুলিশের ভাষ্যমতে, ২০২২ সালের ১ অক্টোবর এসএসসির ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষে নাটোরের নজিরপুর মরিয়ম মেমোরিয়াল বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন এক পরীক্ষার্থী। ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফিরোজ আহমেদ পরীক্ষায় বেশি নম্বর দেয়ার কথা বলে তাকে নিয়ে রাজশাহীর এক আত্মীয়ের বাড়িতে যান। সেখানে আটকে রেখে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন ওই শিক্ষার্থীকে।
এ ঘটনায় সেদিন রাতে শিক্ষক ফিরোজ আহমেদসহ তিনজনকে আসামি করে গুরুদাসপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন ছাত্রীর মা। পরে র্যাব ফিরোজ আহমেদকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন:
পুলিশ জানায়, পুলিশ তদন্ত করে তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জশীট প্রদান করেন। চার্জ গঠনের সময় বিচারক দুজনকে অব্যাহতি দিয়ে একমাত্র আসামি হিসেবে ফিরোজের বিচারকাজ শুরু করেন। পরে তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষন, সাক্ষ্য গ্রহন ও যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন শেষে আজ রায় ঘোষনা করেন। রায় ঘোষনার সময় আসামি আদালতেই উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে কারাগারে নেয়া হয়।
রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইবুনাল আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পি.পি.) মুন্সী আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘এই রায়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বাদীপক্ষ সন্তুষ্টি জানিয়েছেন।’





