এক সময়ের জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর বিরুদ্ধে কানাডীয়দের যত অভিযোগ, তার মধ্যে অন্যতম ছিল অভিবাসন প্রক্রিয়া বেসামাল করে তোলা। যত মানুষ বাইরে থেকে এসেছেন, সে তুলনায় থাকার জায়গা বাড়েনি। এতে বিরূপ প্রভাব পড়ে আবাসন খাতে। যথেষ্ট চাকরির সুযোগ না থাকায় দেখা দেয় কর্মসংস্থান সংকটও। অর্থনীতিও হয়ে পড়ে ভঙ্গুর।
এ অবস্থায় গেল বছর থেকে অভিবাসন নীতিতে কড়াকড়ি আরোপ করে জাস্টিন ট্রুডো প্রশাসন। এতেও তৈরি হয় সমস্যা। অতিরিক্ত চাপে পড়তে হয় শিক্ষার্থী ও তাদের স্বামী বা স্ত্রীদের। সেটিও ভালো কোনো ফল বয়ে আনবে না। নির্বাচনের পর নতুন সরকার এলে পুরো ব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর মাধ্যমে সুষ্ঠু সমাধান হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
তবে আশার কথা হলো, অভিবাসী নির্ভর দেশ কানাডায় অভিবাসীদের চাহিদা কমবে না। তাই তাদের প্রয়োজন পড়বে কোনো না কোনোভাবে।
চলমান সংকটের মধ্যেই আরও বড় প্রভাব ফেলেছে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয়ের আবেদন। এর মধ্যে বাংলাদেশিদের আবেদনও নেহাত কম নয়। পর্যটক বা টুরিস্ট ভিসায় এসে না ফেরার প্রবণতা, অবৈধ হয়ে নানা পন্থা খোঁজার কারণেই বেসামাল হয়েছে পরিস্থিতি। ক্ষুণ্ণ হচ্ছে দেশের সুনাম।
সোমবার ফেডারেল নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। জনমত জরিপে, এগিয়ে লিবারেল পার্টির প্রার্থী মার্ক কার্নি। এখন দেখার পালা পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী এই সমস্যাগুলোর সুষ্ঠু সমাধানে কতটা তৎপর হন।