উত্তর আমেরিকা
বিদেশে এখন
0

শিক্ষার্থীদের কর্মঘণ্টা নিয়ে বিপাকে কানাডা, চাকরির বাজারে অস্বস্তি

বিদেশি শিক্ষার্থীদের কর্মঘণ্টা বেঁধে দেয়া নিয়ে বিপত্তি বাড়ছে কানাডায়। সপ্তাহে ২৪ ঘণ্টা কাজের সুযোগের কথা বলা হলেও, তা এখনো অনুমোদন দেয়া হয়নি। এতে জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়লেও, আয় বাড়ার কোনো পথই দেখছেন না শিক্ষার্থীরা। অনেকে আবার দেশ থেকে অর্থ এনে টিউশন ফি'সহ প্রয়োজনীয় ব্যয় মেটাচ্ছেন।

চাকরির বাজারে কিছুতেই স্বস্তি ফেরাতে পারছে না কানাডা। ভালো চাকরি পেতে হিমশিম খাচ্ছেন অনেকেই। সবচেয়ে বেশি বিপাকে বিদেশি শিক্ষার্থীরা। পড়াশোনার মান বাড়াতে চলতি বছরের এপ্রিলে আন্তর্জাতিক ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সপ্তাহে ২৪ ঘণ্টা কাজের সুযোগ দেয়ার ঘোষণা দেন কানাডার অভিবাসনমন্ত্রী মার্ক মিলার।

সিদ্ধান্তটি সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হওয়ার কথা থাকলেও এখনও তা অনুমোদন দেয়নি মন্ত্রিসভা। ক্ষমতাসীন লিবারেল সরকারের দোটানায় এখনও ঝুলছে লাখ লাখ শিক্ষার্থীর আর্থিক ভাগ্য।

একজন জানান, এখন কাজের সুযোগ অনেক কম। খরচ বেশি, কিন্তু কর্মঘণ্টা স্বল্প। কিন্তু এটা একদিক দিয়ে অন্যদের জন্য ভালো হবে, কারণ কানাডায় চাকরির সংকট রয়েছে।

এক গবেষণায় দেখা গেছে, অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রে, যারা প্রতি সপ্তাহে ২৮ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন, তাদের একাডেমিক কর্মক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে।

তবে অন্য দেশের চেয়ে কানাডায় এই সুযোগ কম বলে মনে করছেন শিক্ষার্থীরা। কেননা শ্রমবাজারে অস্থিরতা কমাতে সপ্তাহে কেবল ২০ ঘণ্টা কাজের সুযোগ দেয়ার সিদ্ধান্তেই অটল জাস্টিন ট্রুডো সরকার।

ভারতীয় শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে জনপ্রিয় গন্তব্যগুলোর একটি কানাডা। বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে নথিভুক্ত মোট বিদেশি শিক্ষার্থীর এক তৃতীয়াংশেরও বেশি ভারতীয়।

২০২৩ সালে প্রায় ৭ লাখ স্টাডি পারমিটের মধ্যে ভারতীয়দের সংখ্যা আড়াই লাখেরও বেশি। ফলে দেশটির চাকরি বাজারেও বাংলাদেশিদের তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে ভারতীয় শিক্ষার্থীরা।

এএইচ