বেকারির সামনের লম্বা লাইন লেগে যায় কেবল একটা রুটির জন্য। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও রুটি পাওয়া যাবে কি না, নেই সেই নিশ্চয়তা। উপত্যকায় ত্রাণের ট্রাক প্রবেশে বিধিনিষেধ আরোপের পর ধ্বংসস্তূপে কোনোরকমে বেঁচে থাকা গাজাবাসীর জন্য নতুন আতঙ্ক এখন তীব্র খাদ্য সংকট। এরমধ্যে নতুন করে যুক্ত হয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের ভোগান্তি।
স্থানীয় একজন বলেন, ‘কারণ সবদিকে সীমান্ত বন্ধ, আমরা করবো কি? ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে আছি এক টুকরো রুটির জন্য।’
গাজায় বসবাসকারী একজন বলেন, ‘বিদ্যুৎ ছিল, রান্না করে খেতে পারতাম। এখন বিদ্যুৎও নেই। আগুন জ্বালানোর কাঠও নেই। বেকারিতে এসেও অপমানিত হচ্ছি। রুটিও নেই। আর কতো অপেক্ষা করবো?’
এদিকে শরণার্থী শিবিরগুলোর পরিস্থিতিও আরও ভয়াবহ। শরণার্থী শিবিরের বাসিন্দারা চাইছেন, দ্রুতই কার্যকর হোক দ্বিতীয় দফার যুদ্ধবিরতি। স্বাভাবিক গতি ফিরুক উপত্যকার জনজীবনে। সবার একটাই চাওয়া, কোনোভাবেই যেন ফিলিস্তিনিদের এই উপত্যকা ছাড়তে না হয়।
গাজায় বসবাসকারী একজন বলেন, ‘আমরা আলোচনা সমর্থন করি। ওয়াশিংটনকে বলবো, পুরো বিশ্বকে বলবো, শান্তি আলোচনার জন্য আমরা প্রস্তুত। আর ধ্বংস চাই না। কিন্তু আমাদের হুমকি দিয়ে লাভ নেই।’
স্থানীয় একজন বলেন, ‘আলোচনা ফলপ্রসূ হচ্ছে না, কারণ ইহুদিরা দেরি করছে, তাদের সবসময় বেশি কিছু চাই। তাদের কাজই যুদ্ধবিরতি বিলম্ব করে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করে উপত্যকাকে আরও ভয়াবহ দিকে ঠেলে দেয়া।’
এমন অবস্থায় সোমবার দ্বিতীয় দফায় যুদ্ধবিরতি আলোচনার কথা রয়েছে। এতে অংশ নেবে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার, মিশর ও ইসরাইলি প্রতিনিধিরা। কাতারের রাজধানী দোহায় বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। যদিও হামাসের অভিযোগ, গাজাবাসীকে বরাবরই ব্ল্যাকমেইল করে চলেছে ইসরাইল।
অবরুদ্ধ পশ্চিমতীরে ভয়াবহ আগ্রাসন চালাচ্ছে দখলদার ইসরাইল। জেনিন, হেব্রন, নাবলুস, কালকিলিয়াতে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের সঙ্গে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর সংঘাত অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে হামাসের কাছে বন্দি ইসরাইলি বন্দিদের মুক্তির দাবিতে তেল আবিবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সামনে বিক্ষোভ হয়েছে। এসময় অনেক বিক্ষোভকারী সারারাত অবস্থান করেন মন্ত্রণালয়ের সামনে। এখনও হামাসের কাছে বন্দি ৫৯ ইসরাইলি বন্দি।