রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের কবলে পড়েছে সিরিয়া। বাশার আল আসাদ সরকার বিরোধী বিদ্রোহী বাহিনী দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর আলেপ্পোর বড় একটি অংশ দখলের পর দক্ষিণে অবস্থিত হামা শহর অভিমুখে যাত্রা শুরু করতেই রোববার মুহুর্মুহু হামলা চালিয়েছে সিরিয়া ও রাশিয়ার বিমান বাহিনী।
রাশিয়া ও সিরিয়ার যৌথ বিমান হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত শহর ইদলিব ও আলেপ্পো। বিদ্রোহীদের শহর দখল যাত্রা রুখে দিতে চালানো এসব হামলায় বেশ কয়েকজন বিদ্রোহী হতাহতের শিকার হয়েছেন। এমনকি সম্প্রতি বিদ্রোহীদের দখল করা বেশ কয়েকটি শহর পুনরুদ্ধারের দাবি করছে সিরিয়ার সেনাবাহিনী। সব মিলিয়ে দেশটিতে চলমান গৃহযুদ্ধ উত্তেজনা এখন চরম পর্যায় পৌঁছেছে।
সুন্নি ইসলামপন্থি রাজনৈতিক সংগঠন তাহরির আল শাম নেতৃত্বাধীন সশস্ত্র বিদ্রোহীদের সঙ্গে সিরিয়া ও রুশ বাহিনীর এই সংঘাত পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা কথা জানালেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু।
তিনি বলেন, 'আমরা সিরিয়ার বর্তমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা ইসরাইলের গুরুত্বপূর্ণ স্বার্থ রক্ষা করতে এবং যুদ্ধের অর্জন বজায় রাখতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।'
এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরাইল যাতে সিরিয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে কোনো সুযোগ নিতে না পারে সেদিকে গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। এমনকি রোববার সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সাথে দামেস্কে জরুরি বৈঠক করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি। অতীতের মতোই আসাদের সরকার বিদ্রোহীদের পরাস্ত করতে সক্ষম হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। সেই সঙ্গে মিত্র হিসেবে পাশে থাকার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।
এক দশকের বেশি সময় ধরে চলা গৃহযুদ্ধ ২০২০ সাল থেকে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছিল আসাদ সরকার। তবে রুশ সমর্থিত সিরিয়ার সরকারকে হটাতে সম্প্রতি আক্রমণ জোরালো করেছে বিদ্রোহীরা। বুধবার থেকে এখন পর্যন্ত সিরিয়া ও রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর সাথে বিদ্রোহীদের যুদ্ধে হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে। ২০১১ সাল থেকে গৃহযুদ্ধে সিরিয়ায় পাঁচ লাখের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।