গৃহযুদ্ধ

সাত বছর পর চালু হলো দামেস্ক জাতীয় জাদুঘর

সিরিয়ার ক্ষমতার পালাবদলের একমাস পর পুনরায় চালু হলো দামেস্ক জাতীয় জাদুঘর। গৃহযুদ্ধে চলার সময় প্রায় ৭ বছর ধরে বন্ধ ছিল জাদুঘরটি।

যুক্তরাষ্ট্রকে নতুন সাম্রাজ্যবাদী শক্তিতে পরিণত করতে চান ডোনাল্ড ট্রাম্প

আমেরিকা ফার্স্ট পলিসি ব্যবহারের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রকে নয়া সাম্রাজ্যবাদী শক্তিতে পরিণত করতে চান ডোনাল্ড ট্রাম্প। যার জলজ্যান্ত উদাহরণ কানাডা, গ্রিনল্যান্ড ও পানামা খাল দখলের হুমকি। নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্টের বক্তব্যকে হালকাভাবে না নেয়ার আহ্বান বিশেষজ্ঞদের। যদিও তাদের দাবি, দখলের বদলে দেশগুলোর কাছ ভালো ব্যবসায়িক প্রস্তাব পেতে চান ডোনাল্ড ট্রাম্প।

চরম বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকটে সিরিয়া

চরম বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকটে ভুগছে সিরিয়া। গৃহযুদ্ধের কারণে সিরিয়ায় দীর্ঘকাল ধরে টানা সংকটে ভেঙ্গে পড়েছে বিদ্যুৎ অবকাঠামো এবং ঘাটতি দেখা দিয়েছে জ্বালানি খাতে।

দেশ ছেড়ে পালানোর কোনো ইচ্ছেই ছিল না আসাদের

দেশ ছেড়ে পালানোর কোনো ইচ্ছেই ছিল না সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের। নিজের ও পরিবারের ৫৩ বছরের স্বৈরশাসনের পতনের পর আপাতদৃষ্টিতে প্রথম বিবৃতিতে এমনটাই দাবি করেছেন তিনি। পতনের জন্য দায়ী করেন সেনাবাহিনীকে। এদিকে দামেস্কের গণকবরে আসাদ বাহিনীর হাতে নিহত এক লাখের বেশি মানুষের দেহাবশেষ রয়েছে, বলছে পর্যবেক্ষক সংস্থা।

সরকার পতনের পর প্রথম শুক্রবার বিজয় উদযাপন সিরীয়দের

স্বৈরাচার আসাদ পরিবারের ৫৩ বছরের শাসন পতনের পর প্রথম শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) বিজয় উদ্‌যাপন করলেন সিরীয়রা। দামেস্ক ও আলেপ্পোসহ প্রতিটি শহরেই উল্লাসে মেতেছেন লাখ লাখ মানুষ। এদিকে সরকার পরিবর্তনের পর অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখোমুখি সিরিয়ায় বসবাস করা সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও শিয়াপন্থী বাসিন্দারা। তবে সম্প্রীতি বজায় রেখে বসবাসের আশ্বাস দিয়েছেন বিদ্রোহী পক্ষের বাসিন্দারা।

'প্রতিবেশিদের যৌথ চক্রান্তের ফল আসাদ সরকারের পতন'

যুক্তরাষ্ট্র, ইসরাইল এবং সিরিয়ার প্রতিবেশিদের যৌথ চক্রান্তের ফল, বাশার আল-আসাদের পতন বলে মন্তব্য করলেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। তেহরানের কাছে এটির প্রমাণ আছে উল্লেখ করে, অঞ্চলটিতে কিছুতেই যুক্তরাষ্ট্রের ভিত গাড়ার পরিকল্পনা সফল হতে দেয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ার করেছেন তিনি। এখন ইসরাইলি আগ্রাসনে সিরিয়া আরও বেশি অস্থিতিশীল হওয়ার শঙ্কা ক্ষমতাচ্যুত আসাদের আরেক মিত্র রাশিয়ার।

মধ্যপ্রাচ্যে ক্ষমতা সুসংহত হওয়ায় লাভবান ইসরাইল-যুক্তরাষ্ট্র!

আসাদের পতন ইরানের আঞ্চলিক শক্তিতে এযাবৎকালের সবচেয়ে বড় আঘাত। আর এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা আধিপত্য বিরোধীরা। অন্যদিকে মধ্যপ্রাচ্যে ক্ষমতা আরও সুসংহত হলো বলে লাভবান হয়েছে ইসরাইল-যুক্তরাষ্ট্র। তবে একইসঙ্গে এটি ইসরাইলের জন্য বড় হুমকিরও কারণ। বিশ্লেষকরা বলছেন, সিরিয়ায় ঐতিহাসিক পরিবর্তনে সুসময় যেমন ফিরতে পারে, তেমনি অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিতে পারে পুরো অঞ্চলকে। বিশেষ করে আসাদের পতন ঘটানো বিদ্রোহীদের অনেকেরই যেখানে অতীত ইতিহাস সুখকর নয়, বরং ভয়াবহ।

আসাদের পতনে বিভিন্ন দেশে বিজয় উল্লাসে সিরিয়ানরা

স্বৈরশাসক আসাদ সরকারের পতনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিজয় উল্লাসে মেতেছেন সিরিয়ানরা। ১৩ বছরের গৃহযুদ্ধে অন্যদেশে আশ্রয় নেয়া হাজারও শরণার্থী ফিরতে চান নিজ দেশে। অন্ধকার যুগের অবসান পেরিয়ে এবার ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও মর্যাদা রক্ষায় নতুন যুগের সূচনা হবে বলে মন্তব্য তাদের।

ক্ষমতার লোভে বুঁদ হয়ে ছিলেন বাশার আল-আসাদ

প্রেসিডেন্ট বাবা হাফিজ আল-আসাদের সংস্পর্শে থেকে ক্ষমতার লোভে বুঁদ হয়ে ছিলেন বাশার আল-আসাদও। ২৯ বছর দেশের ক্ষমতা ধরে রাখা বাবার মৃত্যুর পর ২০০০ সালে প্রেসিডেন্ট পদে স্থলাভিষিক্ত হন বাশার। বিরোধী মত দমনের মধ্য দিয়ে ২০০৭ সালের পর জনগণের কাছে ধীরে ধীরে স্বৈরশাসক হিসেবে আবির্ভূত হন তিনি। ২০১১ সালে যা রূপ নেয় গৃহযুদ্ধে। অবশেষে আসাদ সরকার বিরোধী হায়াত তাহরির আল শামের বিদ্রোহীদের টানা ১২ দিনের শহর দখল অভিযানে আল-আসাদ পরিবারের ৫৩ বছরের শাসনামলের অবসান হলো।

সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধে ১৫ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হওয়ার শঙ্কা

সিরিয়ায় নতুন করে চলমান গৃহযুদ্ধে ১৫ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হওয়ার শঙ্কা করছে জাতিসংঘ। এরইমধ্যে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালানো হাজার হাজার বাসিন্দা খাবারের অভাবে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। এ অবস্থায় সিরিয়ায় থাকা সব মানবিক সংস্থায় অর্থায়ন বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য সহায়তা সংস্থা ডব্লিউএফপি।

সিরিয়ায় সংঘাতের জন্য দায়ী ইসরাইল-যুক্তরাষ্ট্র!

গৃহযুদ্ধের মধ্যেই সিরিয়ায় সরকার ও বিরোধীদের মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে পৌঁছেছে। ইদলিব, হামা আর আলেপ্পোতে অব্যাহত রয়েছে বিদ্রোহী আর আসাদ বাহিনীর মধ্যে তুমুল সংঘাত। সিরিয়ায় সরকারবিরোধী বিদ্রোহীদের দমাতে আসাদ সরকারকে সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছে ইরান সমর্থিত ইরাকি যোদ্ধারা। যদিও হাত গুটিয়ে বসে আছে লেবাননের হিজবুল্লাহ। বিরোধীদলীয় নেতা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের আগে কোনোভাবেই এই যুদ্ধ থামবে না। ইরান বলছে, সিরিয়ায় সংঘাতের জন্য দায়ী ইসরাইল আর যুক্তরাষ্ট্র। অন্যদিকে তুরস্ক বলছে, সিরিয়ার সাধারণ মানুষের স্বার্থে হলেও এবার একটা সমাধানে আসতে হবে।

বিদ্রোহীদের অভিযান রুখতে যৌথ হামলা জোরালো করেছে সিরিয়া-রাশিয়া

আলেপ্পোর পর হামা শহর দখলের পথে বিদ্রোহীদের অভিযান রুখে দিতে রোববার (১ ডিসেম্বর) থেকে যৌথ হামলা জোরালো করেছে সিরিয়া ও রাশিয়া। ইদলিব ও আলেপ্পোতে চালানো হামলায় বিদ্রোহী ও সাধারণ মানুষ মিলিয়ে অন্তত ২৫ জন নিহত হয়েছেন। এতে বুধবার (২৭ নভেম্বর) থেকে এখন পর্যন্ত প্রাণহানি বেড়ে ৪০০ ছুঁইছুঁই অবস্থা। বিদ্রোহীদের দখলে থাকা কয়েকটি শহরও পুনরুদ্ধারের দাবি বাশার আল আসাদ সরকারের। সিরিয়ার এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণের কথা জানিয়েছে ইসরাইল। এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরাইল যাতে কোনো সুযোগ নিতে না পারে সেদিকে গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান ইরানের।