মধ্যপ্রাচ্য
বিদেশে এখন
0

পশ্চিমা বিশ্বকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে সমরাস্ত্র প্রদর্শন ইরানের

ইসরাইল আর পশ্চিমা বিশ্বকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে নিজেদের সমরাস্ত্র প্রদর্শন করছে ইরান। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, ইরানের যে পরিমাণ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র আছে, মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশের নেই। এদিকে ইসরাইলকে জবাব দিতে সমরাস্ত্রের ভাণ্ডার শক্তিশালী করছে ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হুথি, হিজবুল্লাহ ও হামাস যোদ্ধারা। হুথিদের নতুন নতুন সমরাস্ত্র তাক লাগিয়ে দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রকে। এত হুমকি ধামকির মধ্যেও গাজা, লেবাননে আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী।

মধ্যপ্রাচ্যে যখন ইরান-ইসরাইল উত্তেজনা তুঙ্গে, তখন তেহরানের একটি জাদুঘরে প্রদর্শিত হচ্ছে ইরানের শক্তিশালী সব সামরিক সরঞ্জাম। যেখানে রয়েছে ক্ষেপণাস্ত্র, প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাসহ সাম্প্রতিক সময়ে তৈরি অত্যাধুনিক সব অস্ত্র। ইরান-ইসরাইলের পাল্টাপাল্টি হামলার পর নিজেদের ভূখণ্ড রক্ষার পাশাপাশি পুরো মুসলিম বিশ্বের পাশে দাঁড়াতে নিজেদের সমরাস্ত্র ঝালিয়ে নিচ্ছে তেহরান।

পহেলা অক্টোবর ইসরাইলে হামলার পর থেকে ইরানের সমরাস্ত্রের বড় অংশ হয়ে গেছে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় বুদ্ধিমত্তা কার্যালয় বলছে, পুরো মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের মতো ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কোনো দেশের কাছে নেই।

গেলো কয়েক বছরে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রে নিজেদের এতো স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছে তেহরান। কারণ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র শত্রুপক্ষের হামলা প্রতিহত করার পাশাপাশি যেকোনো হামলার জন্য অন্য সমরাস্ত্রের তুলনায় কার্যকর।

এদিকে ইরানের সামরিক সক্ষমতা ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধক্ষেত্রে কাজে লাগাচ্ছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহী আর লেবাননের সশস্ত্র যোদ্ধা হিজবুল্লাহ। গাজার সাধারণ মানুষের প্রতি ইসরাইলের আগ্রাসন দেখে গেরো এক বছরে নিজেদের সমরাস্ত্রের ভাণ্ডার শক্তিশালী করে ফেলেছে হুথিরা।

তাদের অস্ত্রের মজুত তাক লাগিয়ে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রকে। পেন্টাগনের বিলিং সংক্রান্ত অঙ্গপ্রতিষ্ঠান লাপ্লান্টে বলছে, হুথিদের দখলে ক্ষেপণাস্ত্রসহ যে ধরনের সমরাস্ত্র রয়েছে, তা এই গোষ্ঠীকে আরও বিপজ্জনক করে তুলেছে।

শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) লেবানন আর গাজার সাধারণ মানুষের প্রতি সংহতি জানিয়ে ইয়েমেনে বিক্ষোভ করেছেন হাজার হাজার মানুষ। ইয়েমেন, লেবানন আর ফিলিস্তিনের বিশাল পতাকা হাতে তাদের একটাই দাবি, মুসলিম বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা। গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরের দাবি করেছে ইসরাইলে বসবাসরত ফিলিস্তিনিরাও।

এদিকে, এতো হুমকি ধামকিকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে লেবানন আর গাজায় একযোগে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী। বৈরুতসহ লেবাননের উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন স্থান থেকে সাধারণ মানুষকে সরে যেতে বলা হয়েছে। গাজার শরণার্থী শিবিরগুলোতে হামলার তীব্রতা বাড়িয়েছে ইসরাইল। জাতিসংঘ বলছে, গাজার উত্তরে ত্রাণ সরবরাহ সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে।

এসএস